বিদ্যুুৎ কর্তৃপক্ষের তামাশায় নাকাল জকিগঞ্জবাসী

Slider ফুলজান বিবির বাংলা সামাজিক যোগাযোগ সঙ্গী সিলেট

IMG_20170323_134620

হাফিজুল ইসলাম লস্কর :: শীতকালেও বিদুত্যের ঘন ঘন লোডশেডিং এ নাকাল জকিগঞ্জবাসী। গরমকাল আসলে লোডশেডিং এর মাত্রা তীব্র থেকে তীব্রতর হবে এটা অনুমান যোগ্য।

কখনো নোটিশ দিয়ে কখনো বিনা নোটিশে শীতকালেও জকিগঞ্জে দিনের পর দিন নয় সপ্তাহের পর সপ্তাহে বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হচ্ছে।

মেরামত কাজের দোহাই দিয়ে জকিগঞ্জের ৩৭ হাজার গ্রাহকদের সাথে রীতিমত তামাশা করছে বিদ্যুুৎ কর্তৃপক্ষ। বিদ্যুৎ বন্ধ ও চালুর সময় সীমা তারা বেধে দিলে তা মোটেই মানছে না বিদ্যুৎ বিভাগ।

গ্রাহকদের ফোন না ধরা, গ্রাহকদের সাথে দুব্যবহার, ভুতুরে বিদ্যুৎ বিল, সংযোগ,পূন সংযোগ, বকেয়া বিল আদায়( ডিএনপি), বিনা নোটিশে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ নানা হয়রানী জকিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের নিত্যদিনের চিত্র।

বুধবার সকাল সাতটা থেকে রাত ৭টা পর্যন্ত একটানা বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল । শুধু বুধবারই নয় বুধবারের মতো সপ্তাহের প্রায় প্রতিদিনই গ্রাহকদের নিয়ে খেলা খেলে জকিগঞ্জের বিদ্যুৎ বিভাগ।

বিদ্যুৎ বিভাগের সেবার মান হাজারো প্রশ্নের মুখোমুখি হলেও গ্রাহক হয়রানি আর অনিয়ম দুর্নীতি এখানে রন্ধে রন্ধে। শীত, গরম, রাত, দিন, বৃষ্টি কিংবা পরিস্কার আকাশ কোনো কিছুরই বালাই নেই জকিগঞ্জের পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের।

সব সময়ই সীমান্তবর্তী এ উপজেলায় লোডশেডিং লেগেই থাকে। গরমকাল আসলে এর মাত্রা তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে ওঠে। বর্তমানে এখানে অসহ্য লোডশেডিং চলছে।

পরিস্থিতির অবনতি সম্পর্কে ডিজিএম ইছহাক আলী বলেন বিদ্যুৎ লাইন দুর্বল যে কারণে ঘন ঘন ট্রিপ করে। এ ক্ষেত্রে তার কিছুই করার নেই এবং তিনি অসহায়। তবে মেরামত কাজ শেষ হলে দিনের বেলা বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।

জকিগঞ্জবাসীর অভিযোগ পাশের উপজেলা বিয়ানীবাজার, কানাইঘাটে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ থাকলেও আমরা থাকি ঘন্টার পর ঘন্টা অন্ধকারে। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে গ্রাহকরা।

দিনের পর দিন বা ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ না থাকলেও এ ব্যাপারে স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিসের কারো কোনো মাথা ব্যাথা নেই। পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের নির্ধারিত মোবাইল ফোনটি সচল পাওয়া গেলেও কখনও তা কেই রিসিভ করেন না।

অভিযোগ রয়েছে টাকা না দিলে জকিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কারো কাছেই গ্রাহকরা সেবা পান না। জকিগঞ্জে বর্তমানে প্রায় ৩৭ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। জকিগঞ্জে ৪০০ কি.মি সঞ্চালন লাইনের প্রায় ৯ হাজার খুঁটির অধিকাংশই মেয়াদোত্তীর্ণ। এছাড়া সিলেট থেকে ৯২ কি.মি. দূরত্বে ৩৩ কেবি লাইনের দুর্বল তারে বিদ্যুৎ আসায় লাইনে প্রায়ই সমস্যা হচ্ছে।

বিদ্যুতের লোডশেডিং জকিগঞ্জে নিত্যদিনের ঘটনা। শীত গ্রীষ্ম বার মাসই এখানে লোডশেডিং থাকে। গরমে লোডশেডিং চরমে পৌঁছে।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি জকিগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম জানান, সামান্য ঝড়বৃষ্টি হলেই তার ছিড়ে যায় ভেঙ্গে যায় ইনসুলেটর। ২০১০ সালে সামান্য ঝড়েই ১৪২টি খুঁটি ভেঙ্গে পড়েছিল।

প্রায় ত্রিশ বছর আগে নির্মিত দুর্বল খুটিঁ ও সঞ্চালন লাইন পরিবর্তন না হলে জকিগঞ্জবাসীর এ কষ্ট দূর হবে না। ২০১৮ সালের মধ্যে চারখাই গ্রীড নির্মাণের কাজ শেষ হলে এ সমস্যা থাকবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *