যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে সতর্ক করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। বলেছে, পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলোতে অস্ত্র বিক্রিতে ভেটো দিতে। তাদের যুক্তি যদি এসব দেশে অস্ত্র বিক্রি করা হয় তাহলে তা ব্যবহৃত হতে পারে ইয়েমেনে। এর সঙ্গে ইয়েমেনে সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়তে পারে যুক্তরাষ্ট্র। উল্লেখ্য, সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তার ক্ষমতার মেয়াদের শেষ দিকে এসে সৌদি আরব ও বাহরাইনের সঙ্গে বড় অংকের অস্ত্র বিক্রির উদ্যোগ নেন। এর আওতায় রয়েছে সৌদি আরবের কাছে প্রস্তাবিত ৩০ কোটি ডলারের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনার অস্ত্র প্রযুক্তি ও বাহরাইনের কাছে ৩০০ কোটি ডলারের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিক্রির কথা। এ বিষয়ে যে চুক্তি হয়েছিল তা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসন এ মাসের শুরুর দিকে অনুমোদন দিয়ে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য হোয়াইট হাউজে পাঠিয়েছে বলে খবর বেরিয়েছে। অ্যামনেস্টি বলেছে, ইয়েমেনের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট আবদ রাব্বু মানসুর হাদির অনুরোধে গত দু’বছর ধরে হুতি বিদ্রোহী ও আল কায়েদার অবস্থানস্থলে বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে সৌদি আরব নেতৃত্বাধীন জোট। এর প্রধান শরিক হলো উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রগুলো। তবে এ অভিযানের কারণে আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র সমালোচনা আছে। অভিযোগ আছে, এ অভিযানে বেসামরিক স্থাপনার ওপর হামলা চালানো হয়েছে। অপ্রয়োজনীয় কারণে প্রাণহানী হচ্ছে। জাতিসংঘ বলেছে, এটা যুদ্ধাপরাধের সম পর্যায়ের হতে পারে। তবে জোট বলেছে, তারা বেসামরিক লোকজনকে টার্গেট করে নি। উল্লেখ্য, ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধ তিন বছরে পা দিয়েছে। এ সময়ে কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। অনাহারের মুখে রয়েছেন ৭০ লাখ মানুষ। সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেসব মুসলিম দেশের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন তার মধ্যে ইয়েমেন উল্লেখযোগ্য। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের যুক্তরাষ্ট্র শাখার নির্বাহী পরিচালক মার্গারেট হুয়াং বলেছেন, যদি ওই অস্ত্র বিক্রি অনুমোদন করা হয় তাহলে অবশ্যই তাতে কোনো বাড়ির ওপর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের গ্যাসোলিন ছোড়ার মতো হবে। সেখান থেকে তিনি বের হয়ে আসার পথ পাবেন না। যে সরকার বা সরকারগুলো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বা মানবিক আইন লঙ্ঘন করে, সহিংসতা থেকে পালানো মানুষগুলোর জন্য তাদের দরজা বন্ধ করে দেয়, তাদেরকে অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রাখতে পারে না যুক্তরাষ্ট্র।