যে ৫ খাবার নিয়মিত খাবেন

Slider বাংলার সুখবর

a7ad57cb5b4223a8437cb0c85c349c42-58be3bae05dba

ডেস্ক রিপোর্ট;  পেট ও হৃদ্‌যন্ত্রের সুরক্ষায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি একধরনের যৌগ, যা প্রাকৃতিকভাবে কিছু ফল ও সবজিতে থাকে। টমেটোর লাইকোপেন, গাজরের বিটা ক্যারোটিন, চকলেটে ফ্ল্যাভানোলসের নাম শুনেছেন নিশ্চয়ই। এগুলো বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।অক্সিডেন্ট শরীরের কোষে যে ক্ষতি করে, তা ঠেকায় এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। অক্সিডেন্ট হচ্ছে শরীরে তৈরি হওয়া মুক্ত কণা, যা ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস ঠেকাতে তৈরি হয়। এগুলোর সংখ্যা বেড়ে গেলে তা কোষের ক্ষতি করে। হৃদ্‌রোগ ও ক্যানসারের মতো সমস্যা তৈরি হয়। দূষণ, ধূমপান ও মদ্যপানে অক্সিডেন্ট বাড়ে। তাই স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মধ্য ভারসাম্য রাখা জরুরি। শরীরে তৈরি হওয়া অক্সিডেন্টগুলো দ্রুত অ্যান্টিঅক্সিডেন্টকে ছাড়িয়ে যায়। এ ভারসাম্য রাখতে শরীরে নিয়মিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ জরুরি। বাইরে থেকে আসা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মান ভালো থাকা দরকার। ভালো মানের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টযুক্ত খাবার খেলে মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকে ও পেট ভালো থাকে। এতে জীবনের দৈর্ঘ্য বাড়ে।

ভালো মানের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টযুক্ত পাঁচ খাবার সম্পর্কে জেনে নিন:

.টমেটো১. টমেটো: রসালো টমেটোর মধ্য থাকে তিন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। লাইকোপেন, ভিটামিন সি ও ভিটামিন এ। ফল ও সবজি থাকা আসা গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ভিটামিন সি। রান্না করা টমেটোর লাইকোপেন শরীরে শোষিত হয় বেশি।

.সম্প্রতিক বছরগুলোতে ক্যানসার প্রতিরোধী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কারণে আলোচিত ব্রকলি। এতে রয়েছে ক্যারোটিনয়েডস লুটেন, জিয়াক্সথিন ও বিটা ক্যারোটিন। এটি সেদ্ধ করে খেলে বেশি উপকার।

বার্লি৩. বার্লি: বহু বছরের পুরোনো এই শস্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কারণে আবার আলোচনায়। এতে যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, তা শরীরে শক্তি জোগায়। বার্লি যখন ভেজানোর পর অঙ্কুরোদ্‌গম হয়, তখন এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বাড়ে।.২. ব্রকলি: সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ক্যানসার প্রতিরোধী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কারণে আলোচিত ব্রকলি। এতে রয়েছে ক্যারোটিনয়েডস লুটেন, জিয়াক্সথিন ও বিটা ক্যারোটিন। এটি সেদ্ধ করে খেলে বেশি উপকার।

৪. কিশমিশ: যদি ভরপুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চান, তবে এক মুঠ কিশমিশ খান। কালো কিশমিশে অ্যান্থোসায়ানিনস নামে যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস থাকে, তা শরীরে শক্তি জোগায়। সকালে নাশতা হিসেবে ওটের সঙ্গে মিশিয়ে কিংবা সালাদে বা জুসে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারেন। আঙুরের চেয়ে তিন গুণ বেশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কিশমিশে।.

৫. কিডনি শিম: সাদা, লাল কিংবা কিডনি শিমে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভরপুর। এতে মাংসপেশি গঠন উপযোগী প্রোটিন থাকে, কিন্তু কোনো কোলস্টেরল থাকে না। সালাদ, স্যান্ডউইচে এটি খাওয়া যায়। তথ্যসূত্র: এনডিটিভি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *