অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশ শ্রমশক্তি জরিপ ২০১৩ অনুযায়ী, শ্রমশক্তিতে ২০০২-০৩ সালে নারী শ্রমিকের অংশগ্রহণ ছিল ২৬ দশমিক ১ শতাংশ; ২০১৩ সালে সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৩ দশমিক ৫ শতাংশ। এমনকি পোশাকশিল্প খাতে আয়ের ৮৫ শতাংশেই নারীর অবদান। অথচ এখনো তাঁদের সুরক্ষায় কোনো শ্রম আইন হয়নি।
উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানিয়া হক বলেন, ‘নারীরা শ্রমবাজারে নিযুক্ত হচ্ছেন; কিন্তু সেই হারে পুরুষ ঘরের কাজে যুক্ত হচ্ছেন না। ফলে নারীকে দ্বিগুণ পরিশ্রম করতে হচ্ছে। পাশাপাশি সন্তান পালন আমাদের দেশে কেবল নারীর কাজ হিসেবে দেখা হয়; পরিবার ও সমাজে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে এসব মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পেশায় কর্মরত নারীরা তাঁদের প্রতি নানা ধরনের বৈষম্য ও নির্যাতনের কথা তুলে ধরেন। পোশাকশ্রমিক নিপা বলেন, ‘একদিন কাজ নিয়া ঝামেলা হইলে লাইন চিফ আমারে ধাক্কা দিয়ে ফালাই দিছে।’ কারচুপি শ্রমিক নাছিমা বলেন, ‘একে তো আমারে মজুরি কম দেয়। আবার ঠিকমতো ট্যাকাও দেয় না।’
কর্মজীবী নারীর নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া রফিক বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে সর্বস্তরে নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণের জন্য প্রতিটি ক্ষেত্রে ন্যূনতম এক-তৃতীয়াংশ নারী প্রতিনিধিত্বের দরকার। ট্রেড ইউনিয়নেও এর বিকল্প নেই। পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে নারীবান্ধব পরিবেশ থাকতে হবে।