বর্ধমান বিস্ফোরণ প্রধান সন্দেহভাজনের ‘বাংলাদেশি’ বলে দাবি

Slider গ্রাম বাংলা জাতীয় টপ নিউজ ঢাকা

9e440cdbaa5049dedaaec4c1bb0856c2-india

গ্রাম বাংলা ডেস্ক: বর্ধমান বিস্ফোরণ ঘটনার অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত শেখ রহমাতুল্লাহ ওরফে সাজিদকে গতকাল রোববার কলকাতার একটি আদালতে হাজির করেন ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) সদস্যরা। ছবি: এএফপিভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে বিস্ফোরণের ঘটনার প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার হওয়া শেখ রহমাতুল্লাহ ওরফে সাদিক ওরফে সাজিদ নিজেকে ‘বাংলাদেশি’ বলে কলকাতার আদালতে দাবি করেছেন।

আদালতের বরাত দিয়ে আজ সোমবার টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনের প্রতিবেদনে এ দাবি করা হয়েছে।
ওই বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় সাজিদের ১২ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন কলকাতার একটি দায়রা আদালত। গতকাল রোববার বিকেলে তাঁকে আদালতে তোলা হয়। সাজিদকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন মুখ্য বিচারক মো. মুমতাজ খান।
আদালতে এনআইএর আইনজীবী শ্যামল ঘোষ বলেন, শেখ রহমাতুল্লাহ ওরফে সাদিককে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ গ্রেপ্তার করে এনআইএর কাছে হস্তান্তর করেছে। এই মামলায় তিনি ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। এমনকি তিনি এর হোতা। তিনি পরিকল্পনা করেছেন। এটা দেশের নিরাপত্তার প্রশ্ন।
পরে আদালত সাদিকের কাছে তাঁর নাম জানতে চান। অভিযোগের বিষয়ে সাদিক কোনো কথা বলেননি। সাদিকের সঙ্গে কথাবার্তার সারসংক্ষেপ করতে গিয়ে আদালত বলেন, ‘আপনি বলতে চান যে, আপনি একজন বাংলাদেশি নাগরিক, যিনি ভারতে থাকতে চান। তাই নয় কি?’
পরে আদালত সাজিদকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত এনআইএর হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
ভারতের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর দাবি, সাজিদ বাংলাদেশের নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সক্রিয় সদস্য। এর আগে তাঁকে গ্রেপ্তারে এনআইএর পক্ষ থেকে ১০ লাখ রুপি পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল।

বাংলাদেশি জড়িত থাকার বিষয়ে তথ্য দেয়নি ভারত
সাজিদকে ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ও ভারতে জেএমবির কর্মকাণ্ড সম্পর্কে কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তিনি মুর্শিদাবাদ জেলার লালগোলার একটি মাদ্রাসাকে কেন্দ্র করেই জঙ্গি তৎপরতা চালাতেন বলে দাবি করেছে এনআইএ।
কলকাতার বিধাননগর পুলিশ গত শনিবার দুপুরে সাজিদকে গ্রেপ্তার করে। বর্ধমানে বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১২ জঙ্গিকে ধরিয়ে দিতে এনআইএ পুরস্কার ঘোষণা করে। এই তালিকার একজন সাজিদ।
গত ২ অক্টোবর বোমা বানাতে গিয়ে বর্ধমানের খাগড়াগড়ে নিহত হন শাকিল আহমেদ ও সুবহান মণ্ডল নামের দুই জঙ্গি। ভারতের পুলিশের বরাত দিয়ে সে দেশের গণমাধ্যমগুলোতে দাবি করা হয়, তাঁরা বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য।
বর্ধমানের ঘটনায় গত শুক্রবার সুজিনা বেগম ওরফে সিরজিয়া বানু নামের এক নারীকে গ্রেপ্তার করে আসামের পুলিশ। ভারতের পুলিশের দাবি, সুজিনাও বাংলাদেশের নাগরিক। পুরস্কার দেওয়ার জন্য ঘোষিত ১২ জনের তালিকায় সুজিনার স্বামী শাহানুরের নামও আছে। এ ছাড়া জিয়াউল হক নামের জেএমবির আরেক সদস্যকে শুক্রবার গ্রেপ্তার করেছে আসামের পুলিশ।
বর্ধমানে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় বাংলাদেশি কয়েকজনের জড়িত থাকার বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশকে কোনো তথ্য দেয়নি ভারত। বাংলাদেশে জঙ্গি নিয়ে কাজ করে এমন সংস্থাগুলোর কর্মকর্তারা গতকাল প্রথম আলোকে এ কথা জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *