অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে নিজেদের তৈরি পিচেই বিপাকে পড়তে হয়েছে বিরাট বাহিনীকে। যে স্পিন নিয়ে এত গর্ব ভারতের সেই স্পিনেই ধরাশায়ী হয়েছে ভারতের ব্যাটিং। টিম ম্যানেজমেন্ট বা ক্রিকেটাররা কেউ পিচ নিয়ে প্রশ্ন না তুললেও মনে মনে যে পিচকেই দায়ী করছে সকলে। যদিও ভারতীয় দল এটাকে শিক্ষা হিসেবেই নিচ্ছে। যে পিচে ভ্রমণকারী অস্ট্রেলিয়া দল এসে বাজিমাত করে গেল সেখানে কেন পারলেন না অশ্বিন, জাডেজারা। কেন ব্যাট হাতে অস্ট্রেলিয়ান স্পিনারদের থামাতে পারলেন না লোকেশ, মুরলী, বিরাটরা। যে খানে ব্যাট হাতেও সাফল্য পেলেন স্টিভেন স্মিথরা। প্রশ্ন উঠছেই। স্পিনিং ট্র্যাক বানিয়ে নিজেদের সুবিধে করতে গিয়ে নিজেদের জালেই ধরা পড়েছে ভারত। প্রশ্ন উঠেছে পিচ কিউরেটরের ভূমিকা নিয়েও। এমন অবস্থায় বেঙ্গালুরুর পিচ নিয়ে আর কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না বিসিসিআই। শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে স্পোর্টিং উইকেট তৈরি হচ্ছে দ্বিতীয় টেস্টের জন্য।
প্রথম টেস্ট তিন দিনেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। বল হাতে স্টিভ ও’কিফ ১২টি উইকেট নিয়ে একাই ভারতকে দুরমুশ করে দিয়েছিলেন। এটাই ভারতের মাটিতে কোনও বিদেশি দলের স্পিনারের সর্বোচ্চ উইকেট। সকলেরই বিশ্বাস ভারতের জন্য পুরো ব্যাপারটিই বুমেরাং হয়ে গিয়েছে। আগামী শনিবার বেঙ্গালুরুতে অন্য পিচই অপেক্ষা করছে দুই পক্ষের জন্য। সেই পিচ কী ব্যবহার ফিরিয়ে দেবে সেটা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। বলা হচ্ছে স্পোর্টিং পিচ দেওয়া হবে দুই পক্ষকেই। কর্নাটক স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সচিব সুধাকর রাও বলেন, ‘‘ভারতীয় দলের পক্ষ থেকে পিচ নিয়ে কোনও উপদেশ আমাদের কাছে আসেনি। আমরা নিজেদের মতো করেই এমন পিচ বানাচ্ছি যেখানে একটা প্রতিযোগিতা মূলক ম্যাচ হবে। আমাদের লক্ষ্য স্পোর্টিং পিচের পাশাপাশি টেস্ট ম্যাচের উপযুক্ত পিচ তৈরি করে দেওয়া।’’
প্রথম টেস্ট পাঁচ দিনের বদলে তিন দিনেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। যেটা স্পনসর থেকে টিকিট বিক্রি সব ক্ষেত্রেই ক্ষতি। তা ছাড়াও ক্ষতি টেস্ট ম্যাচের ভবিষ্যতের জন্যও। সুধাকর রাও বলেন, ‘‘আমরা পাঁচ দিনের ম্যাচ চাই। আমরা একদমই চাই না ম্যাচ তিন দিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাক।’’ এই মুহূর্তে বেঙ্গালুরুর আবহাওয়ায় আদ্রতা রয়েছে। কিন্তু পিচে জল দেওয়া চলছে। ম্যাচের দু’তিন দিন আগে পর্যন্ত জল দেওয়া হবে। এর পর দেখা হবে পিচ কেমন ব্যবহার করে।