ডাকাতের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ চার পুলিশ সদস্য গুলিবিদ্ধ

Slider চট্টগ্রাম

23704_map

মহেশখালী (কক্সবাজার) প্রতিনিধি; কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় ডাকাত দলের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ছররা গুলিতে চার পুলিশ সদস্যসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন।
সোমবার সন্ধ্যায় এ ঘটনার অস্ত্র-গুলিসহ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, আহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) শাওন দাশ ও এসআই ফখরুল ইসলাম, এএসআই জাহাঙ্গীর আলম, কনস্টেবল মিটুন ভৌমিক এবং আনসার সদস্য বিষু শর্মা আহত হন। পুলিশ ধাওয়া করে জয়নাল আবেদীন ওরফে জনুকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে।

মহেশখালী থানা-পুলিশের ভাষ্যমতে, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়নের ধারাখালের উত্তর পশ্চিমে একদল ডাকাত চালিয়াতলি-মাতারবাড়ী সড়কে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। খবর পেয়ে স্থানীয় মাতারবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শাওন দাশের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দলের সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। দুই পক্ষের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী বন্দুকযুদ্ধ চলে। পরে পিছু হটে ডাকাতেরা। পুলিশ ধাওয়া করে ছয়টি বন্দুক, তিনটি এলজি, ৩০টি গুলিসহ শীর্ষ ডাকাত জয়নাল আবেদীনকে গ্রেপ্তার করে। বন্দুকযুদ্ধের সময় ডাকাত দলের সদস্যদের ছোড়া ছররা গুলিতে চার পুলিশ সদস্য ও একজন আনসার সদস্য আহত হন। খবর পেয়ে মহেশখালী থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই পাঁচজনকে উদ্ধার করে।

ওসি প্রদীপ কুমার দাশ  বলেন, ডাকাত দলের সঙ্গে পুলিশের ঘণ্টাব্যাপী বন্দুকযুদ্ধে পুলিশ ৩০টি গুলি ছোড়ে। এ সময় ডাকাতের ছররা গুলিতে চার পুলিশ সদস্য পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনাস্থল থেকে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ডাকাত জয়নালের বিরুদ্ধে মহেশখালী থানায় অস্ত্র, ডাকাতি, হত্যাসহ ১৪টি মামলা রয়েছে। তাঁর বাড়ি উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের উত্তরনলবিলা গ্রামে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *