গাজীপুর একটি নতুন সাংবাদিক সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মী!

Slider গ্রাম বাংলা ঢাকা সামাজিক যোগাযোগ সঙ্গী

11220079_1655908684687780_5626033683931026684_n

 

 

 

 

 

 

 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, গাজীপুর; রাজনৈতিক রঙ মেখে অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার জন্য সব সময় সরকারী দলের হয়ে থাকা  একটি সাংবাদিক সিন্ডিকেটের নিকট গাজীপুর জেলা জিম্মি হয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। যারা তারেক রহমান, সাবেকমন্ত্রী    তরিকুল  ইসলাম, শাহজাহান সিরাজ এমনকি জামায়াতেরও লোক ছিলেন তারা আজ সরকারী দলের হয়ে গেছেন। এই সূযোগে  স্থানীয় প্রশাসনেও ঘুরঘুর করছেন তারা। বিএনপির আমলে গাজীপুরে থাকা কতিপয় সরকারী কর্মচারীদের সঙ্গেও সখ্যতার নবায়ন হচ্ছে তাদের। এতে সিন্ডিকেটের  আত্মরক্ষা ও স্বার্থরক্ষার কাজটি হাসিল হচ্ছে যদিও, তবে গণমাধ্যমের সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন গাজীপুরবাসাী। ফলে জেলায় নির্বিঘ্নে অন্যায় অত্যাচার করতে খারাপ মানুষগুলো  পরোয়া করছেন না। সহজেই সত্য গোপন করতে পারায় অপরাধীরা এখন ফুরফুরে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপির আমলে গাজীপুরের গণমাধ্যমকে পুঁজি করে কয়েকজন  সরকার দলীয় লোক বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মী কাম সাংবাদিক পরিচয়ে দাপটের সঙ্গে রাজত্ব করেন। তারা বিভিন্ন সরকারী দপ্তর নিজেদের কব্জায়  এনে অবৈধ ভাবে লাভবান হয়। তৎকালিন মন্ত্রী মওদুদ আহমেদ, শাহজাহান সিরাজ, তরিকুল ইসলাম, সচিব মার্গুব মোর্শেদ এবং তৈমূর আলম খন্দকারকে নিয়ে তারা একাধিক অনুষ্ঠানও করেন।

গাজীপুর রাজবাড়ি মাঠে বিআরটিসি বাস পর্যন্ত তারা উদ্বোধন করেন। তৎকালিন সময়ে ৪/৫ জনের একটি পরিষদ এই নিয়ন্ত্রন ক্ষমতায় ছিলেন।  জাল কাগজপত্র দিয়ে সরকারী টাকা উত্তোলন, জমি কেনা-বেচা ও দখল, বনের জায়গা হরিলুট সহ নানা ধরণের অপকর্ম করে তারা যথেষ্ট নাম অর্জন করেন বিএনপির আমলে। তাদের ওই সকল অপরাধ বিষয়ে একাধিকবার পত্রিকায় ছবিসহও সংবাদ বেরিয়েছে।

সূত্র জানায়, তৎকালীন সময়ে সরকারী-বেসরকারী জমি  দখল উৎসবের মাষ্টারমাইন্ড ওই সকল সাংবাদিক বর্তমানে  কৌসলে আওয়ামীলীগের পতাকাতলে জমায়েত হচ্ছেন। তারা বিএনপি-জামায়াতের শাষন আমলের আদলে বর্তমান আওয়ামীলীগের সময়ও আগের ব্যবসা শুরু করতে যাচ্ছেন।

এই সব রঙ পাল্টানো কথিত সাংবাদিক সিন্ডিকেটের সদস্যদের ইদানিং গাজীপুরের বড় বড় কর্তা ব্যাক্তিদের সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে ফটোসেশন করতেও দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন সরকারী অনুষ্ঠানেও তারা বক্তব্য দিচ্ছেন। কতিপয় সরকারী কর্মকর্তার সঙ্গেও তাদের দহরম-মহরম দেখা যায়।

চলবে—–

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *