২০১৯ থেকে বাণিজ্য মেলা পূর্বাচলে: বাণিজ্যমন্ত্রী

Slider ফুলজান বিবির বাংলা সারাদেশ

b232c285d232b4815a24665ba08d6fb1-c69634d0e565ddf383c915c957561a32-tofayel-ahmed

ঢাকা; আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০১৯ সাল থেকে পূর্বাচলে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেছেন, এ জন্য পূর্বাচলে অবকাঠামো নির্মাণের কাজ চলছে। আজ বুধবার সংসদে জাতীয় পার্টির সেলিম উদ্দিনের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, জনদুর্ভোগ এড়াতে বাণিজ্য মেলা ঢাকা থেকে পূর্বাচলে স্থানান্তরের জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে চীনের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর একটি চুক্তি সই হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার নতুন এই স্থানের নাম হবে চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার। আশা করা যায়, ২০১৮ সালের মধ্যে এর নির্মাণকাজ শেষ হবে। সে ক্ষেত্রে ২০১৯ সালের বাণিজ্য মেলা পূর্বাচলের নতুন মেলা সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে।

জাহান আরা বেগমের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ২০০৮-০৯ থেকে ২০১৫-১৬ পর্যন্ত বাংলাদেশ চা রপ্তানি করে ৩৫ দশমিক ১১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করেছে। তবে আগের সাত অর্থবছরের তুলনায় সর্বনিম্ন ১ দশমিক ৮৩ মিলিয়ন ডলারের চা রপ্তানি হয়েছে গত অর্থবছরে।

এ কে এম শাহজাহান কামালের প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ বলেন, গত অর্থবছরে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৪ হাজার ৭৬৩ মিলিয়ন ডলার এবং পাকিস্তানের সঙ্গে ৪৬০ মিলিয়ন ডলার। সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত রয়েছে। টাকার পরিমাণ সাড়ে ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাকের কারখানার সংখ্যা ৪ হাজার ৬০৪টি। তবে নিরাপত্তা মান খারাপ হওয়ায় ৩৯টি কারখানা সম্পূর্ণ এবং ৪৭টি কারখানা আংশিক বন্ধ রয়েছে।

মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের জবাবে প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের ১ হাজার ৬৭ জন চিকিৎসক, ১ হাজার ৪৩৬ জন নার্স ও ৪৫ হাজার ৭৭২ জন প্রকৌশলী কর্মরত রয়েছেন।

ওয়াসিকা আয়শা খানের প্রশ্নের জবাবে প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি মালয়েশিয়া সরকার পোলট্রি, কারগো হ্যান্ডলিং, মাইনিং ও পর্যটন খাতে কর্মী নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ফলে বাংলাদেশ থেকে এ খাতের দক্ষ লোক পাঠানোর সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

রহিম উল্লাহর প্রশ্নের জবাবে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, কলকারখানায় শিশুশ্রম প্রতিরোধে সরকার মোবাইল কোর্ট পরিচালনার চিন্তাভাবনা করছে।

প্রশ্নোত্তরের আগে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকেল পাঁচটার দিকে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়। প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *