অনেকে বলছে, প্রধানমন্ত্রীর চাওয়া অনুযায়ী ইসি হবে: ফখরুল

Slider রাজনীতি

1a6f94867982dd508bfa624849d5f493-20

ঢাকা; প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে ঠিক করে রেখেছেন সেভাবেই নির্বাচন কমিশন (ইসি) হবে—এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একই সঙ্গে তিনি আশা করেন, রাষ্ট্রপতি জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাবেন। তা হলে ইতিহাসে রাষ্ট্রপতির নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
আজ শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক দল জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার ঢাকা মহানগর শাখা ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অনেকে বলছেন, যা ঠিক করে রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাই হবে।’ বিএনপির মহাসচিব বলেন, সার্চ কমিটিতে সরকারের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক, সরকারি সুবিধাপ্রাপ্ত, সরকারি কাজে নিয়োজিত এমন লোকও রয়েছে। যারা নিরপেক্ষ সিদ্ধান্ত নিতে পারে না, তারপরও বিএনপি মেনে নিয়েছে। অনুসন্ধান কমিটির কাছে নাম দিয়েছে। এর একমাত্র কারণ, বিএনপি গণতন্ত্রকে সুসংহত অবস্থায় দেখতে চায়।

রাষ্ট্রপতির উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, রাষ্ট্রপতি এখন কোনো দলের নেতা নন। তিনি নিরপেক্ষ হয়ে কাজ করবেন। তাঁর উচিত ছিল সব নিবন্ধিত দলকে সংলাপে ডাকা, কিন্তু তা করা হয়নি। বিএনপি আশা করে ভবিষ্যতে এই বিষয়টি রাষ্ট্রপতি বিবেচনা করবেন। মির্জা ফখরুল আরও বলেন, তাঁরা দেখতে চান রাষ্ট্রপতি জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করতে পারেন কি না। যদি সেটি করতে পারেন তাহলে নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। না হলে ইতিহাসের কলঙ্কজনক অধ্যায়ে স্থান হবে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, তাঁদের দাবি পরিষ্কার। শুধু নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন নয়, একটি নিরপেক্ষ সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকারের সময় রাজনৈতিক ব্যক্তি ও সাংবাদিকদের ওপর যত নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে অতীতে কখনো এমনটা হয়নি। আওয়ামী লীগ নয়, পোশাকধারী লোক দেশ চালাচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, সরকার যেভাবেই হোক একদলীয় শাসন কায়েম করতে চায়। আওয়ামী লীগের অবস্থা হয়েছে গ্রাম্য মোড়লদের মতো। যাদের কাজ হচ্ছে শুধু মামলা করা। এরাও বারবার বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। কিন্তু বিএনপি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করবে, কথা বলার জন্য শরীরের রক্ত দিতে হলে বা ফাঁসি হলেও আপত্তি নেই।

সভায় জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি মো. আসাদুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *