আ.লীগের সংঘর্ষ, সাংবাদিক গুলিবিদ্ধ

Slider গ্রাম বাংলা

IMG_20170130_134507

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি; সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় আজ বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ঘটনাস্থলে থাকা দৈনিক সমকালের স্থানীয় প্রতিনিধি আবদুল হাকিম গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ দুপুরে শাহজাদপুরের আওয়ামী লীগ সমর্থিত পৌর মেয়র হালিমুল হকের ছোট ভাই পিন্টু পৌর শহরের কালিবাড়ী মোড়ে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি কান্দাপাড়া মহল্লার বাসিন্দা বিজয় মাহমুদকে (১৮) বেদম মারধর করেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বিজয়ের সমর্থনে মহল্লার লোকজন ও আওয়ামী লীগের একাংশ এবং কলেজের ছাত্ররা এক জোট হয়ে বিকেল তিনটার দিকে মেয়রের বাড়িতে হামলা চালান। এ সময় গোলাগুলি ও বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তখন ঘটনাস্থলে থাকা সাংবাদিক আবদুল হাকিম গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় আরও তিনজন আহত হন। তাঁদের বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আবদুল হাকিমকে গুরুতর অবস্থায় প্রথমে শাহজাদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল স্থানান্তর করা হয়। অপর তিনজনকে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক মনোয়ার হোসেন বলেন, সাংবাদিক আবদুল হাকিমের চোখের পাশ দিয়ে একটি গুলি মস্তিষ্কে প্রবেশ করেছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে দ্রুত বগুড়ায় পাঠানো হয়েছে।

ওই ঘটনার পর বিজয়ের লোকজন বগুড়া-নগরবাড়ী মহাসড়কে শাহজাদপুরের দিলরুবা বাস স্ট্যান্ড এলাকায় প্রায় আধঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। একই সঙ্গে স্থানীয় সাংবাদিকরাও বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে থানায় গিয়ে অভিযুক্তদের শাস্তি দাবি করেন।

স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত পৌর নির্বাচন নিয়ে হালিমুল হক ও তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ভিপি আবদুর রহিমের দ্বন্দ্ব চলছিল। নির্বাচনের সময় আবদুর রহিমের শ্যালক বিজয় মাহমুদ বর্তমান মেয়র হালিমুল হককে মারধর করেছিলেন। ওই ঘটনার জের ধরে হালিমুল হকের ছোট ভাই পিন্টু আজ বিজয়কে মারধর করেন।

শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হক বলেন, পিন্টুকে মেয়রের বাসা থেকে আটক করে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। মেয়রের লাইসেন্স করা শটগানসহ একটি গুলির খোসা জব্দ করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পৌর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও র‍্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। আহত সাংবাদিককে চিকিৎসার জন্য বগুড়ায় পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো পক্ষই মামলা করেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *