১৩ বছরে ৬০০ ধর্ষণ!

Slider নারী ও শিশু

49365_sunil-rastogi

 

ঢাকা; গা শিউরে উঠার মতো খবর। দিল্লির ৩৮ বছর বয়সী সুনীল রাস্তোগি গত ১৩ বছরে ধর্ষণ করেছে প্রায় ৬০০ সংখ্যালঘু বালিকাকে। তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে সে বর্ণনা করেছে তার বীভৎস কর্মকা-ের কথা। পেশায় সে একজন দর্জি। বাড়ি উত্তর প্রদেশের রামপুরে। ১৯৯০ সালে সে সপরিবারে চলে যায় দিল্লি।
সেখানে তার পিতার একটি দোকানে সহযোগী হিসেবে কাজ শুরু করে। ২০০৪ সালের দিকে ময়ুর বিহারে বসবাস করা অবস্থায় সে একটি শিশুকে যৌন নির্যাতন করার চেষ্টা করে। এতে স্থানীয়দের চাপে সে পরিবার সহ ওই এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়। তার রয়েছে ৫ সন্তান। এর মধ্যে দু’টি মেয়ে। ২০০৬ সালে উত্তরাখন্ডের রুদ্রপুরে একই রকম অপরাধের জন্য সুনীল রাস্তোগিকে ৬ মাসের জেল দেয়া হয়। পুলিশের কাছে গত ১৩ বছওরে শুধু দিল্লিতে নয়, গাজিয়াবাদ ও রুদ্রপুরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রায় ৬০০ শিশুকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে সে। ধর্ষিত এসব শিশুর বয়স ৭ থেকে ১১ বছরের মধ্যে। এসব অপরাধ ঘটানোর জন্য সে একটি লাল জ্যাকেট পরে। সে মনে করে এ পোশাকটি তার অপরাধের জন্য সহায়ক। সে উত্তর প্রদেশ থেকে দিল্লিতে শুধু বেজোড় তারিখে অপরাধ সংঘটনের জন্য যায়। এ জন্য সে সফর করে শুধু ‘সম্পর্ক ক্রান্তি এক্সপ্রেস’ ট্রেন। সুনীল রাস্তোগি বলেছে, শিশু কন্যাদের প্রলুব্ধ করতে সে মিষ্টি ব্যবহার করে। তারপর তাদেরকে অপহরণ করে নিয়ে যায় নির্জন স্থানে। এরপর তাদেরকে ধর্ষণ করে ওই এলাকা থেকে পালায়। তার পকেটে থাকে মেয়েদের স্কুলের লিস্ট। যে মেয়েকে সে টার্গেট করে তাদের একটি গ্রুপ থেকে সে অল্প দূরত্ব বজায় রাখে। এরপর টার্গেট করা শিশুকে কব্জায় পাওয়ার কৌশল ব্যবহার করে। পুলিশ বলেছে, শিকার হিসেবে সে যাদের বেছে নেয় তার বেশির ভাগই স্কুলগামী মেয়ে। সে তাদেরকে ভুল বোঝায়। বলে, তাকে দেয়ার জন্য কিছু কাপড় পাঠিয়েছে ওই মেয়ের পিতা। এটা বলে সে ওই মেয়েটিকে নিয়ে যায় নির্জন স্থানে। এ ছাড়া তার পৈশাচিকতা থেকে নিজের মেয়েরা রক্ষা পেয়েছে কিনা পুলিশ এখন তাও তদন্ত করে দেখছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *