রেকর্ড গড়ার পথে সাকিব-মুশফিকের সেঞ্চুরি

Slider খেলা

49df2637fa3766362661140d058afebd-1.jpgtttt

ডেস্ক; বলটা সাকিবের দিকে ওভাবে না ছুড়লেও পারতেন টিম সাউদি। শট খেলে সাকিব ক্রিজে ফিরে গেছেন, তবু বলটা ছুড়লেন সাউদি। স্টাম্পের অনেক দূরে থাকা সাকিবের গোড়ালিতে আঘাত হানল সে বল। সে আঘাত সামলে নিয়েছেন সাকিব। কিন্তু সাকিব-মুশফিকের দেওয়া আঘাত কী সামলাতে পারবেন সাউদিরা? দ্বিতীয় দিনের চা-বিরতির আগে ৪ উইকেট হারিয়েই ৩৯১ রান তুলে ফেলেছে বাংলাদেশ।
পুরো কৃতিত্বই প্রাপ্য মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসানের। পঞ্চম উইকেটে অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ২৩১ রান তুলে ফেলেছেন এ দুজন। যে কোনো উইকেটে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান। এত দিন ১৬১ রান নিয়ে এ রেকর্ডের মালিক ছিলেন জুনায়েদ সিদ্দিকী ও তামিম ইকবাল। ২০০৮ সালে জানুয়ারিতে নিজেদের অভিষেক টেস্টে উদ্বোধনী জুটিতে করা সে রান এত দিন সবার নাগালের বাইরেই ছিল। আজ সে রেকর্ডকে পেছনে ফেলে রানের পাহাড় গড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছেন সাকিব-মুশফিক জুটি।

তামিম-জুনায়েদের রেকর্ড যখন ভাঙল তখনো সেঞ্চুরি ছোঁয়া হয়নি সাকিব-মুশফিকের। এমন এক দিনে সেঞ্চুরি না করলে আনন্দটা সম্পূর্ণ হতো না। দুই ব্যাটসম্যানই সে হতাশা উপহার দেওয়ার কোনো ইচ্ছে দেখাননি। সাউদিকে চার মেরে সেঞ্চুরি করেছেন অধিনায়ক, মিচেল স্যান্টনারের বলে সিঙ্গেল নিয়ে ওয়ানডের সহ-অধিনায়ক। ফিফটি ছোঁয়ার সময় বোলারের নামটা অদল-বদল হয়েছিল। সেবার অবশ্য দুজনেই চার মেরে পৌঁছেছেন ফিফটিতে।
২০১৪ সালের পর টেস্টে সেঞ্চুরি পেয়েছেন এ দুজন। জিম্বাবুয়েকে ধবল ধোলাই করার সিরিজে খুলনায় ১৩৭ রানের সে ইনিংসের পর আবারও তিন অঙ্কের দেখা পেলেন টেস্টের সাবেক র‍্যাঙ্কিং সেরা অলরাউন্ডার। মুশফিকের অপেক্ষা তো আরও বেশি, ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরের পর আর কখনো সেঞ্চুরি করে ব্যাট উঁচু করে দেখাননি টেস্টে। উদ্‌যাপনটা অবশ্য একটু অন্যভাবেই করলেন,। পকেট থেকে কয়েন-সদৃশ বস্তু বের করে সেটা দেখালেন ড্রেসিংরুমের দিকে। কী কারণ? সেটা নাহয় দিনের শেষেই জানা যাবে। আপাতত এ দুজনের ব্যাটিংটা উপভোগ করা যাক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *