‘গুলশানের মার্কেটে অগ্নিকান্ডে সরকারের যোগসূত্র রয়েছে’

Slider বাংলার মুখোমুখি

47911_rijvi

 

ঢাকা; গুলশানের মার্কেটে অগ্নিকান্ডে সরকারের যোগসূত্র রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী। তিনি বলেছেন, সরকারের কর্মপদ্ধতির ধারাবাহিকতা বিশ্লেষণ করলে স্পষ্ট বোঝা যায় গুলশান-১ এর ডিএনসিসি মার্কেটের অগ্নিকান্ডের প্রলয়ও একটি নাশকতা এবং এর সাথে শাসকদলের যোগসূত্র আছে। আর সেজন্যই এরা বারবার অপরের ওপর দোষ চাপিয়ে নিজেদের অপকর্ম বা ব্যর্থতাকে আড়াল করতেই বিবৃতি ও বক্তব্য দিয়ে থাকে। শুক্রবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্র্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ অভিযোগ করেন।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের যথাযথ ক্ষতিপূরণেরও জোর দাবি জানিয়ে রিজভী বলেন,  মার্কেটটি আত্মসাৎ করার জন্য ডিএনসিসি মার্কেটে আগুন লাগার ঘটনা একটি পরিকল্পিত নাশকতা। ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ সরকারের লোক দেখানো তদন্ত কমিটিও ইতোমধ্যে প্রত্যাখান করেছেন। গোটা দেশের মালিক হওয়ার জন্যই শাসকদল দেশবাসীর সম্পত্তি গ্রাস করে নিতে চাচ্ছে। ব্যবসায়ীদেরকে যাতে মার্কেটটি থেকে উচ্ছেদ করতে না পারে সেজন্য সকল মহলকে সচেতন থাকার পাশাপাশি নাশকতা সৃষ্টিকারীদের মুখোশ উন্মোচনের দাবি করেন তিনি।
আগামীকাল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেয়ার আহ্বান জানিয়ে রিজভী বলেন, ৫ জানুয়ারী গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপি ঘোষিত সমাবেশ সফল করতে বিএনপি সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। আগামীকালের সমাবেশের অনুমতি চেয়ে গণপূর্ত বিভাগসহ পুলিশ প্রশাসনকে চিঠি দেয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সমাবেশের অনুমতি মেলেনি। সরকারী দল ঢাক-ঢোল পিটিয়ে সভা-সমাবেশ করলেও বিরোধী দলের বেলায় যত বিপত্তি। তিনি আরও বলেন, মূলত: সরকার বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক অধিকারকে কেড়ে নিয়ে একদলীয় দেশে পরিণত করেছে। বিএনপি’র পক্ষ থেকে আবারো সরকারের নিকট আহবান জানাচ্ছি এই মূহুর্তে বিএনপি’র সমাবেশের অনুমতি দেয়া হউক। বিএনপি’র শান্তিপূর্ণ সমাবেশকে সাফল্যমন্ডিত করতে বিএনপি’র পক্ষ থেকে দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীসহ দেশবাসীর প্রতি আহবান জানাচ্ছি। ৫ই জানুয়ারি বিএনপি ঘোষিত ‘গণতন্ত্র হত্যা’ দিবসের কর্মসূচি চলাকালে জয়পুরহাট জেলা বিএনপি’র সভাপতি ও সাবেক এমপি মোজাহার আলী প্রধানের নেতৃত্বে মিছিল চলাকালে মিছিলে গুলিবর্ষণ করে নেতাকর্মীদের আহত করা হয়েছে বলে রিজভী অভিযোগ করেন। একই ঘটনায় জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি মশিউর রহমান বুলুসহ তিন জনকে গ্রেপ্তার করার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান রিজভী। অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে তাদের নি:শর্ত মুক্তির জোর দাবি জানান তিনি। এছাড়াও রিজভী অভিযোগ করেন, যশোরে  বিএনপি’র মিছিলে পুলিশ অতর্কিত হামলা চালিয়ে অসংখ্য নেতাকর্মীকে আহত এবং পৌর বিএনপি’র সভাপতি মারুফসহ বেশ কিছু নেতৃবৃন্দের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। সারাদেশে একই কায়দায় বিএনপি’র কর্মসূচিতে পুলিশ ও সরকারী দলের ক্যাডাররা হামলা চালিয়ে তা পন্ড করে দিয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *