মান্নাকে দেখতে হাসপাতালে কাদের

Slider রাজনীতি

f65d6e821cfe6ea68ac2812006dc7ce5-untitled-1

ঢাকা; নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাকে দেখতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজ শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে মিরপুর সিদ্ধান্ত হাইস্কুল থেকে কর্মসূচি শেষ করে তিনি সরাসরি হাসপাতালে যান চিকিৎসাধীন মান্নাকে দেখতে।
সেখানে উপস্থিত দুজন নেতা প্রথম আলোকে বলেন, ওবায়দুল কাদের শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে মান্নার কেবিনে পৌঁছালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় তাঁকে অভিনন্দন জানান মান্না। এ সময় মান্নাকেও ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান কাদের। ওবায়দুল কাদের প্রথমেই মান্নার স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর নেন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ফোন করে তাঁর দিকে নজর দেওয়ার কথা বলেন। দুজন প্রায় ৩০ মিনিট বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন। স্মৃতিচারণ করেন ছাত্র জীবনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দীর্ঘদিন আমরা একসঙ্গে রাজনীতি করেছি। রাজনীতির বাইরেও একটা সম্পর্ক থাকে। গতকালই (বৃহস্পতিবার) আসতে চেয়েছি। কিন্তু নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনের কারণে পারিনি।’ তিনি বলেন, ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণে তিনি মান্নার স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর নিতে এসেছেন।

গত ১৮ ডিসেম্বর নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না জামিনে মুক্তি পান। সেদিন থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা ও অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির সঙ্গে মোবাইল ফোনে মান্নার কথোপকথন নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। এরপর ২০১৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে বনানীর একটি বাসা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে আটক করা হয়। মান্নার বিরুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের বিদ্রোহে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে মান্নার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১৩১ ধারায় গুলশান থানায় মামলা করে পুলিশ। ২৫ ফেব্রুয়ারি ওই মামলায় আদালতে হাজির করে পুলিশ তাঁকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়। সেই রিমান্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করা হয়।

আশির দশকে জাসদ ছাত্রলীগের তুখোড় ছাত্র নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচনে পর পর দুবার ছাত্রলীগের নেতা ওবায়দুল কাদেরকে পরাজিত করে সহসভাপতি (ভিপি) হয়েছিলেন। পেয়েছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব। ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের পদ হারালে তিনি নাগরিক ঐক্য নামে নতুন দল গঠন করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *