ঝিনাইদহের খবর

Slider খুলনা

rajib-71-tv-1

 

ঝিনাইদহে এবার র‌্যাবের অভিযানে এমপির পিএস ও প্যানেল মেয়র লাঞ্চিত-ইয়াবাসহ আটক দু’জন !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরের ভূষণ স্কুল সড়কে অভিযান চালিয়ে ৫১৫ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট, নগদ টাকাসহ দু’জনকে আটক করেছে ঝিনাইদহ র‌্যাব-৬। এ সময় স্থানীয় সরকারী দলের নেতাকর্মীরা অভিযানে বাঁধা দিলে অপ্রীকর ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষ্যমতে, র‌্যাব এ সময় এমপির পিএস আব্দুর রউফ ও পৌরসভার প্যানেল মেয়র আশরাফুল ইসালাম মাদক ব্যবসায়ীদের ছাড়িয়ে নিতে চাইলে র‌্যাব সদস্যরা তাদের উপর চড়াও হয় এবং মারধর করেন।

বুধবার দুপুর আড়াইটার টার দিকে এ অভিযান চালায় র‌্যাব। আটককৃতরা হলো কালীগঞ্জ পৌরসভাধীন নিশ্চিন্তপুর গ্রামের নজেন্দ্রনাথের ছেলে তপন কুমার বাটুল এবং একই এলাকার শাহজাহান আলীর ছেলে সাগর হোসেন। ঝিনাইদহ র‌্যাব-৬ এর ক্যাম্প কমান্ডার মেজর মনির আহমেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কালীগঞ্জ শহরের ভূষণ স্কুল রোডে আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনের একটি ঘরে দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিলো বাটুল ও সাগর।

গোপন সুত্রে খবর পেয়ে র‌্যাব সেখানে অভিযান চালায়। তিনি আরো জানান, র‌্যাবের উপস্থিতির খবর পেয়ে ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের ছাড়িয়ে নিতে আসেন। র‌্যাব তাদেরকে বুঝিয়ে ফেরৎ পাঠায়। সেখানে অভিযান চালিয়ে ৫১৫ পিচ ইয়াবা, ইয়াবা বিক্রির ১১ হাজার ২১৫ টাকা জব্দ করে র‌্যাব। র‌্যাব কাউকে মারধর করেনি বলে তিনি দাবী করেন।

এ বিষয়ে এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার অভিযোগ করেন, আমি আড়মুখ ভিটসর গ্রামে একটি জানাজার অনুষ্ঠানে ছিলাম। এ সময় খবর পেলাম র‌্যাব নিয়ম ভঙ্গ করে সাদা পোশাকে অভিযান চালাচ্ছে। এবং জনপ্রতিনিধিসহ যে যাচ্ছে তাকেই মারধর করছে। আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি জানতে চাইলে র‌্যাব আমার সাথেও খারাপ আচরণ করেণ।

তিনি অভিযোগ করেন, র‌্যাব তার ভাগ্নে কালীগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র আশরাফুল ইসালাম ও পিএস আব্দুর রউফ মন্ডলকে লাথি ও চড় থাপ্পড় মানে। তিনি বলেন, আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত না হলে পরিস্থিতি আরো জটিল হতো। তিনি সাদা পোশাকে র‌্যাবের অভিযান ও দীয় নেতাকর্মীদের মারধরে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রতিকার দাবী করেন।

ঝিনাইদহ গনপুর্তের বে-দখলে থাকা জমি দখল শুরু ! কোথায় যাবে অসহায় গোলে বুড়ি !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
স্বামী মুনছুর আলীর মৃত্যুর পর স্ত্রী ঝিনাইদহের গুলনাহার ওরফে গোলে বুড়ির আশ্রয় হারা হয়ে পড়েন। তিন সন্তান নিয়ে ফিরে আসেন বাবার বাড়ি ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের বেজপাড়া গ্রামে। সেখানেও তার থাকার কোনো জায়গা হয়নি। শেষে ওই গ্রামের এক পাশে জঙ্গলে ঢাকা গণপূর্ত বিভাগের পতিত জায়গা পরিষ্কার করে সেখানে টিনের চালা তৈরী করে বসবাস শুরু করেন।

দীর্ঘ ৩৫ বছর সেখানেই বসবাস করছেন গোলে বুড়ির পরিবার। তার সন্তানেরাও পরিবার পরিজন নিয়ে এখানেই আছেন। গোলে বুড়িই মতো আরো ৭ জন বিধবা থাকেন এই জায়গায়। যাদের যাবার কোনো জায়গা নেই। সম্প্রতি গণপূর্ত বিভাগ ওই স্থানটি ঘিরে দিয়েছেন। চলে যেতে বলা হয়েছে ওই স্থানের বসবাসকারিদের। এতে অসহায় পরিবার গুলোর মাঝে কান্নাকাটি শুরু হয়ে গেছে। স্থানিয়রা বলছেন, এদের পূর্নবাসনের ব্যবস্থা না করে উঠিয়ে দেওয়া অমানবিক হবে। কোনো ব্যবস্থা ছাড়াই এদের উচ্ছেদ করা হলে এরা যাবেন কোথায়।

ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলার বেজপাড়া মৌজায় গণপূর্ত বিভাগের ৬ একর ৯০ শতক জমি রয়েছে। যেখানে বেশ কিছু অসহায় পরিবার ঝুপড়ি ঘর বেঁধে বসবাস করছেন। কিছু জায়গায় কলা-কচুর চাষ হচ্ছে, আর কিছু জায়গা পড়ে আছে। গণপূর্ণ বিভাগ ঝিনাইদহ অফিস সুত্রে জানাগেছে, ১৯৫২ সালে এখানে ইট তৈরীর জন্য ভাটা প্রস্তুত করা হয়। সেই সময়ে এলাকায় কিছু ভবন নির্মানের জন্য ইটের প্রয়োজন হয়। এই ইট তৈরীর কাজ শেষে জমিটি পতিত হয়ে যায়।

বেজপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আনিচুর রহমান জানান, সংশ্লিষ্ট বিভাগ তাদের গ্রামের লোকজনের কাছ থেকে জমি যখন অধিগ্রহন করেন তখন বলা হয়েছিল প্রয়াজন শেষে আবার ফেরত দেওয়া হবে। ৪ থেকে ৫ বছর এই জমি তারা ব্যবহার করবে, এরপর স্ব-স্ব মালিক ফেরত পাবেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে জমির মালিকরা চেষ্টা করেও আর ফেরত দেওয়া হয়নি। পরিত্যক্ত অবস্থায় দীর্ঘদিন পড়ে থেকেছে। এদিকে গ্রামের মানুষ তাদের দেওয়া জমি ফেরত না পেয়ে বিকল্প পথ বেছে নেন। পড়ে থাকা জমির কিছু অংশ গ্রামের মানুষ সম্মিলিত ভাবে চাষ করে সেখানে উৎপাদিত ফসল বিক্রির মাধ্যমে অর্থ উপার্যন করে গ্রামের সেই অর্থে শিক্ষা প্রতিষ্ঠার গড়ে তোলেন।

আনিচুর রহমান আরো জানান, জায়গা পতিত হয়ে পড়ে থাকায় সেখানে জঙ্গলে ভরে গিয়েছিল। গ্রামের লোকজন স্কুলের পয়োজনে কিছুটা পরিষ্কার করে চাষাবাদ করেন। বাকি জমিতে কিছু অসহায় মানুষ বসবাস শুরু করেন। সর্বপ্রথম গোলে বুড়ি এই স্থানে বসবাস শুরু করেন। আস্তে আস্তে অনেক অসহায় পরিবার এই স্থানটি বসবাসের জন্য বেঁছে নিয়েছেন। তাদের যাবার কোনো জায়গা নেই।

ওই স্থানে বসবাস করেন বিধবা নূরজাহান বেগম জানান, মাথাগোজার মতো কোনো জায়গা ছিল না তার। স্বামীর মৃত্যুর পর এই স্থানে জঙ্গলের মধ্যে ঘর করে বসবাস করেন। দীর্ঘ ৩০ থেকে ৩২ বছর এখানে আছেন। অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চলে। একই অবস্থা মৃত.জয়নালের স্ত্রী রহিমা খাতুনের। তিনি জানান, নিজেদের যাবার কোনো জায়গা থাকলে সরকারি জায়গায় পড়ে থাকতাম না। কিন্তু উপায় নেই দেখে জঙ্গল পরিষ্কার করে এই স্থানে বাস করছেন। এখন চলে যেতে বলা হচ্ছে।

বেবি খাতুন জানান, জায়গাটি সরকারি। সরকারের প্রয়োজনে নিয়ে নিতেই পারেন, কিন্তু প্রয়োজন ছাড়াই শুধু তাদের উচ্ছেদ করতে ঘিরে দেওয়া হচ্ছে। গ্রামের আরেক বাসিন্দা স্থানিয় বেজপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফিরোজ মাহমুদ জানান, এই স্থানে যারা আছেন তাদের একটা ব্যবস্থা সরকারি ভাবে হওয়া জরুরী। এছাড়া সরকার এই মুহুর্তেই ওই স্থানে কোনো স্থাপনা গড়ে না তুললে অসহায় পরিবারগুলোকে উচ্ছেদ করা ঠিক হবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আল-আমিন জানান, প্রথমত তারা গনপুর্তের বে-দখলে থাকা জমি দখলে আনার ব্যবস্থা করছেন। সিমেন্টের খুটি গেড়ে দেওয়ার পর বোঝা যাচ্ছে এটা তাদের জায়গা। যে কারনে তাদের ওই জায়গা থেকে চলে যেতে বলা হয়েছে। এরপর তাদের পরিকল্পনা রয়েছে এখানে একটি বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলার। ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। আশা করছেন পতিত জমিতে ভালো কিছু করে যেতে পারবেন। এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা আশা করেন।

ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে পাশ করলে-জেলাকে শান্তি ও উন্নয়নের মডেল গড়ে করতে চান…কনক কান্তি দাস !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
আগামী ২৮ শে ডিসেম্বর ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক, জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় পুজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি এবং গ্রামের কাগজ পাঠক ফোরামের সভাপতি কনক কান্তি দাস আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে গন-সংযোগ ও প্রচার প্রচারনা- চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি ইতি পুর্বে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন। সে সময়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলাকে মডেল উপজেলায় গড়ে তুলেছেন। ঝিনাইদহ জেলায় ৬টি পৌরসভা ও ৬৭ টি ইউনিয়নের ৯৬৪ জন জনপ্রতিনিধি ভোটাররা ১৫টি কেন্দ্রে তাদের ভোটাধিকার ২৮ ডিসেম্বর প্রয়োগ করবেন।

বিশিষ্ট সমাজ সেবক কনক কান্তি দাস ঝিনাইদহ জেলার বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত রয়েছেন। তিনি জাতী-ধর্ম-বর্ণ, দল-মত, ধনী-গরীব, আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা নির্বিশেষে মানবসেবায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সকলের পাশে থেকে নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করে চলছেন। তিনি এর আগে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি না হয়েও মনুষ্যত্ব ও বিবেকের তাড়নায় ক্ষুদ্র সামর্থ্য অনুযায়ী অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন। কনক কান্তি দাসের কাছে গরীব-দুঃখী মেহনতী মানুষ বিভিন্ন সমস্যায় পড়ে দেখা করলে কাওকে খালি হাতে ফেরাননি। প্রতিবন্ধীসহ বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষের কাছে হৃদয়ের মনি হয়ে রয়েছেন।

কনক কান্তি দাস বলেন, ঝিনাইদহ জেলার গৌরব পুনরুদ্বার ও অবহেলিত জনপদকে স্ব-মহিমায় প্রতিষ্ঠা করতে হলে দরকার সৎ যোগ্য ও নিঃস্বার্থ নির্বাচন। তাই তিনি জেলাবাসীকে সেবা করার জন্য চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। এ জেলাকে মডেল জেলা হিসাবে রুপান্তরিত করার জন্য ভোটারদের ভোট, সমর্থন, দোয়া ও ভালবাসা চেয়েছেন। তিনি চশমা প্রতিক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। প্রতিদিন ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পৌরসভা ও ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি ভোটারদের কাছে ভোট ভিক্ষা চাচ্ছেন। দলীয় নেতা-কর্মীরা মাঠে ময়দানে কনক কান্তি দাসের পক্ষে গণ-সংযোগ, মিছিল ও প্রচার-প্রচানা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এ দিকে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী কনক কান্তি দাসের পক্ষে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য আব্দুল হাই, সাধারন সম্পাদক ও পৌর মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু, ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার, ঝিনাইদহ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ নবী নেওয়াজ, সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম অপু, সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল আজম খান চঞ্চল, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এ্যাড. আজিজুর রহমানসহ বিভিন্ন মেয়র, কাউন্সিলর, ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা প্রচার-প্রচারনা, মিছিল সভা-সমাবেশ চালিয়ে যাচ্ছেন।

এ ছাড়াও যুবলীগ, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল সভা ও সমাবেশ করছে। ঝিনাইদহ জেলায় ৬টি পৌরসভা ও ৬৭ টি ইউনিয়নের ৯৬৪ জন জনপ্রতিনিধি ভোটাররা ১৫টি কেন্দ্রে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

ঝিনাইদহে ৭১ টিভির রাজিব হাসানকে শুভেচ্ছা সহ লালন শাহার স্বারক প্রদান !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহে লালনের উপর একাধিক প্রতিবেদন প্রচার হওয়ায় ৭১ টিভির রাজিব হাসানকে শুভেচ্ছা স্বারক প্রদান করা হয়েছে।ঝিনাইদহের হরিশপুরে মরমী সাধক লালন শাহ এর উপর ৩দিন ব্যাপী স্বরণ উৎসবে একাত্তর টিভির জেলা প্রতিনিধি রাজিব হাসানকে শুভেচ্ছা স্বারক প্রদান করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় লালন স্বরণ উৎসবের ধারাবাহিক প্রতিবেদনে একাত্তরে প্রচারের স্বীকৃতি স্বরুপ তাকে আয়োজক কমিটি শুভেচ্ছা স্বারক প্রদান করে সম্মানীত করা হয়।

সাংবাদিক রাজিব হাসানকে এ শুভেচ্ছা স্বারক তুলে দেন ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও পৌর মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ড. এম,এ, মজিদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান ড.সিদ্ধার্থ শংকর জোয়ার্দ্দার ও সরকারী কেসি কলেজের অধ্যক্ষ ড.বিএম রেজাউল করিমসহ অনান্য অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।এ সময় রাজিব হাসান তার অনুভুতি প্রকাশ করে বক্তব্য প্রদান করেন। শনিবার থেকে বাউল স¤্রাট লালন শাহ এর পূন্যভুমি হরিশপুর গ্রামে ৩দিন ব্যাপী লালন স্বরণ উৎসব শুরু হয়।

দেশের খ্যাতিমান লালন গবেষক এ অনুষ্ঠানে লালন জীবন দর্শনের উপর আলোচনা করেন। লালন স্বরণ উৎসবে আয়োজক কমিটি প্রতি বছর বাউল স¤্রাট লালন শাহ এর স্বরণে এ অণুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। অণুষ্ঠানে এ শুভেচ্ছা স্বারক পাওয়ার পরে তিনি তার অনুভুতি প্রকাশ করে জানান, দীর্ঘদিন ধরে একাত্তরে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রচার করার কারনে লালন শাহ আয়োজক কমিটি যে সম্মাননা প্রদান তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সবাইকে লালন জীবন দর্শন ও জন্মভুমি নিয়ে রিপোর্ট করার অণুরোধ জানান।

পনের হাজার টাকার অভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারছে না ঝিনাইদহের মিঠুন !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ পৌরসভার চাঁচড়া গ্রামের দিন মুজর কাঠ মিস্ত্রি মুরালী মজুমদারের মেধাবী ছেলে মিঠুন মজুমদার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে রাষ্টবিজ্ঞান বিষয়ে উর্ত্তীন হয়েছে।কিন্তু অসহায় হতদরিদ্র পিতা অর্থের অভাবে ভর্তি করাতে পারছে না।

অসহায় পিতাছেলে কে বিশ্ববিদ্যালযে পড়াতে চায়, কিন্তু কে দেবে তারভর্তির টাকা ?মিঠুন কালীগঞ্জ চাঁচড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের সহযোগিতায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এ প্লাস পেয়ে এস এস সি পাশ করে।পরে সকলের সহযোগিতায় এইচ এস সি পাশ করে মাহতাব উদ্দিন ডিগ্র্রী কলেজ থেকে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে তাকে এখন ভর্তি হতে হলে ১৫ হাজার টাকার প্রয়োজন।

কিন্তু অসহায় গরীব পিতার পক্ষে টাকা জোগাড় করা সম্ভব হচ্ছেনা। মিঠুনেরর মা মুক্তা জানান,তাদের কোন সম্পদ নেই।তার স্বামী কাঠের কাজ করে যে টাকা রোজগার করে তাতে কোন রকম সংসার চলে।তার পরেও ছেলেকে পড়ার খরচ চালাতে অনেকের কাছ থেকে ধারদেনা করতে হয়েছে। সে সব টাকা অদ্যবধি পরিশোষ করা সম্ভব হয়।

মিঠুন লোকলজ্জায় এতদিন বাড়িতে বসে ছিল তার বাবার অপেক্ষায়, কিন্তু তার বাবা বলে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ১৫ হাজার টাকা জোগাড় করা সম্ভব না। যে কারনে মিঠুনের লেখাপড়া আজ অনিশ্চিত হতে চলেছে। তার বাবা মুরালী মজুমদার প্রতিদিন সকালে কাঠের কাজ করতে আর বাড়ি ফেরে রাতে। সারাদিন যা আয় হয় তাদিয়ে পরিবারের কোন রকম সংসার চালায়। মিঠুনের ইচ্ছা বিশ্ববিদ্যালযে লেখাপড়া করা, কিন্তু সে শপ্ন পুরন হবে কি ? মিঠুন ভর্তি পরীক্ষায় রাষ্টবিজ্ঞান বিষয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছে।কি ভর্তি হবে কিভাবে।

মিঠুন ও তার মায়ের আবেদন সমাজের কোন বিত্তবান তার ছেলের বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিও খরচের টাকা দিয়ে উচ্চ শিক্ষা লাভের সুযোগ করে দিত তাহলে তিনি চিরকৃঙ্গ থাকত। মা মুক্তা, মোবাঃ০১৭০৩-২৭৫৪৫৭( বিকাশ)/০১৫১৫৬৪০৭৩। এদিকে মিঠুনের বন্ধুরা সবাই বিভিন্ন স্থানে ভর্তি হয়েছে কিন্তু ভর্তি হতে পারছে না।

ঝিনাইদহে মহেশপুরে কৃষকের ঘর বাড়ি,ধানের গোলা ভাংচুর-প্রাণনাশের হুমকি !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
সরকারের কাছ থেকে ১২ শতক জমি বন্দোবস্ত নিয়ে দীর্ঘ দিন করে বসবাস করে আসছিলেন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার কুশুমপুর গ্রামের আজিজুল হকের পরিবার। কিন্তু হঠাৎ করেই কিছুদিন পর্বে প্রতিবেশী মোয়াজ্জেম ও তার দলবল সরকারের কাছ থেকে বন্দোবস্ত নেওয়া আজিজুল হকের পরিবার জমির উপর থেকে দু’টি ধানের গোলাসহ একটি ঘর ভেঙ্গে চুরে তসনচ করে দেওয়া হয়েছে। এমন কি ঐ জমিতে পুনরায় ঘর তুলতে গেলে এখন জীবন নাশের হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা।

কুশুমপুর গ্রামের আজগর আলী জানান, মহেশপুর উপজেলার কুশুমপুর মৌজার ১৫৫ খতিয়ানের ৭০৬ নং দাগের ১২ শতক জমি ২০০৫ সালে সরকারের কাছ থেকে বন্দোবস্ত নেয় আজিজুল হক। পরে সরকারের কাছ থেকে ১২ শতক জমি বন্দোবস্ত নিয়ে সেখানে দু’টি গোলা ও একটি টিনের ছাউনি দেওয়া ঘর নির্মান করা হয়। যা কয়েক দিন আগে প্রতিবেশী মোয়াজ্জেম ও তার দলবল একেবারে ভেঙ্গে দিয়েছে।

ইউপি সদস্য কহিনুর আক্তার জানান, ২০০৫ সালে সরকারের কাছ থেকে ১২ শতক জমি বন্দোবস্ত নেয় আজিজুল হক। কিন্তু শ্বরুপপুর ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান সুকৌশলে আজিজুল হকের পরিবারকে কোন নোটিশ ছাড়ায় একই ডি,সি,আরের মাধ্যমে (০৫৬২৯৩) ২০১৫ সালে প্রতিবেশী আনোয়ারা বেগমের নামে সরকারের ১২ শতক জমির পরিবর্তে আমার নিজের মালিকানাধীন ৩ শতক জমি সহ ১৫ শতক জমি বন্দোবস্ত দিয়েছেন।

একজন সরকারী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা কিভাবে আগের দেওয়া বন্দোবস্তকারী মালিকদেরকে নোটিশ ছাড়ায় অন্যকে জমি বন্দোবস্ত দেয়। কিন্তু তারপরও আমার মালিকানাধীন জমি ৩ শতক কিভাবে অন্যের নামে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে। এখন প্রতিবেশীরা আমার মালিকানাধীন ৩ শতক জমিসহ সর্বোমোট ১৫ শতক জমি জোর পূর্বক দখল করে নিয়েছে।

এমনকি এর প্রতিবাদ করলে আমার স্বামী আজগর আলীকে (৫০) পিটিয়ে ও চটকিয়ে মারান্তক ভাবে যখম করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি এখন কিডনি রোগে অসুস্থ অবস্থায় আছে।
স্বরুপপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জানান, এ বিষয়ে দু’দফায় থানায় বসাবসি হয়েছে। সরকারের জমি সরকার অন্য মালিককে দিতে পারে। তাই বলে কোন ব্যক্তির জমি দিতে পারে না। যে ৩ শতক জমি দেওয়া হয়েছে সেটা খুব তাড়াতাড়ি আমিনের মাধ্যমে মাপযোগ করে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

শ্বরুপপুর ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার জানান, ২০০৫ সালে সরকারের কাছ থেকে ১২ শতক জমি বন্দোবস্ত নেন আজিজুল হক। কিন্তু তিনি বা তার পরিবারের সদস্যরা প্রতি বছর নতুন করে বন্দোবস্ত নেওয়ার কথা থাকলেও দীর্ঘ দিন তা না নিয়ে উল্টো জমির মালিকানা দাবি করে সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করে। পরে সে মামলায় তারা হেরে গিয়ে এখন আবার ঐ জমি বন্দোবস্ত নেওয়ার চেষ্টা করছে।

তিনি আরো জানান, সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করার পর সরকার কি আর তাদের সে জমি কোন দিনই বন্দোবস্ত দেবেনা। তাই ১০ বছর পর ২০১৫ সালে আনোয়ারা বেগমের নামে সরকারের ১৫ শতক জমি বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে।

সহকারী কমিশনার (ভুমি) চৌধুরী রওশন ইসলাম জানান, মুলত ঐ দাগে সরকারের ৩৩ শতক জমি রয়েছে। কিন্তু সরকারের গেজেটে ভুল ক্রমে ১২ শতক উঠেছে। আর ২০০৫ সালে সরকারের কাছ থেকে ১২ শতক জমি বন্দোবস্ত নিয়ে আর আজিজুল হক ১০ বছরেও আর জমি বন্দোবস্তর জন্য আবেদন না করে উল্টো জমির মালিকানা দাবি করে সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেও হেরে গেছেন। তাই পরে আমরা প্রতিবেশী আনোয়ারা বেগমের নামে ১৫ শতক জমি বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *