ঢাকা; নূন্যতম মজুরী বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিক আন্দোলনের প্রেক্ষিতে আশুলিয়ায় গার্মেন্টস কারখানার নিরাপত্তায় পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। গতকাল শ্রমিক অসন্তোষের মুখে সাভারের আশুলিয়ার ৫৫টি তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেন উদ্যোক্তারা। আজ সকালে কারখানা বন্ধের নোটিশ দেখে ফিরে যান শ্রমিকরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আশুলিয়ার গার্মেন্টস অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে মঙ্গলবার রাতেই বিজিবি মোতায়েন করা হয়।
নিরাপত্তার কারণে আজ সকাল থেকে শিল্প এলাকার আব্দুল্লাহপুর-বাইপাইল সড়কে যান চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে সিমিতি আকারে যানচলাচল শুরু হয়। ৪৮ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর অতিরিক্ত পরিচালক মেজর মো. ফজলুল করিম জানান, শিল্প এলাকার উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিরসনে মঙ্গলবার রাত থেকেই ১৫ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। আমরা শিল্প এলাকার গুরুত্বপূর্ন এলাকাগুলো টহল জোরদার করেছি।
এদিকে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলনের নামে একটি মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান। আজ ১১ টায় আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় ফ্যান্টাসি কিংডম পুলিশ ফাঁড়িতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। এসপি মিজান বলেন, কতিপয় উচ্ছৃংখল শ্রমিক অযৌক্তিক কিছু দাবি তুলে বেশকয়েকদিন ধরে শিল্প এলাকায় আন্দোলনের নামে পোশাক শিল্পকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে। ইতিমধ্যে তাদের দাবির বিষয়ে জানতে কয়েকটি সংবাদ সম্মেলন করেও স্পষ্ট কোন কিছু পাইনি। ধারণা করা হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে আন্দোলনের নামে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য একটি বিশেষ মহল এ ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। নূন্যতম মজুরী বৃদ্ধির দাবিতে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় চলমান শ্রমিক আন্দোলনকে অবৈধ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, সরকারকে সহযোগীতার জন্য আমরা পুলিশ প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষনিকভাবে মাঠে আছি। কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টাকারীদেরকে ছাড় দেয়া হবেনা। প্রয়োজনে অযৌক্তিক আন্দোলনকারীদেরকে গ্রেপ্তার করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনা করা হবে। কাজ বন্ধ রেখে অযৌক্তিক আন্দোলনকারীদেরকে কোন প্রকার পারিশ্রমিক প্রদান করা হবেনা বলে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।