ভারতে প্রকৌশলের ছাত্রীকে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যা

Slider নারী ও শিশু

44980_thumbs_knife

ঢাকা;ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের রাজধানী রাঁচিতে ২০ বছর বয়সী এক ছাত্রীর দগ্ধ লাশ তাঁর ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুসন্ধানে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, শরীরে আগুন দেওয়ার আগে মেয়েটিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। ওই ছাত্রী রাঁচির আরটিসি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পঞ্চম সেমিস্টারের ছাত্রী। আজ শনিবার ভারতের ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকায় খবরটি ছাপা হয়েছে।
খবরে বলা হয়, রাঁচির ‘বুটি মোরে’ এলাকার বাসিন্দারা শুক্রবার সকালে ওই বাড়ি থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখেন। এরপর তাঁরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ বাইরে থেকে দেওয়া তালা ভেঙে ঘরের ভেতরে ঢুকে দেখতে পায়, তীব্রভাবে পুড়ে যাওয়া মেয়েটির শরীর থেকেই মূলত ধোঁয়া আসছে। পুলিশের সদস্যরা তৎক্ষণাৎ মেয়েটিকে কাছের একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। যদিও স্থানীয় লোকজন পুলিশকে বলেছিলেন, মেয়েটি ইতিমধ্যেই মৃত।
মেয়েটির অভিভাবকেরা বলছেন, তাঁরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, তাদের মেয়ের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার আগে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশ লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
পুলিশ জানায়, আরটিসি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ওই ছাত্রী বৃহস্পতিবার রাতে বাড়িতে একা ছিলেন। তাঁর রহস্যজনক মৃত্যুতে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন তাঁর সহপাঠীরা। তাঁরা বিক্ষোভে অংশ নিয়ে অবিলম্বে অপরাধীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।
হতভাগ্য মেয়েটির বাবা নাগেশ্বর মাহাতো বলেন, ‘দৃশ্যত সে ধর্ষিত হয়েছিল। তার শরীরে এক রত্তি কাপড়ও ছিল না। শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছিল গভীর পোড়া দাগ। তাঁর গলার কাছে একটি ধাতব তার পড়ে ছিল। এতে বোঝা যাচ্ছে, আগুন দেওয়ার আগে নির্দয়ভাবে তাঁকে খুন করা হয়েছে।’
মেয়েটি গত কিছুদিন ধরে তাঁর বোনকে নিয়ে ওই বাড়িতে বসবাস করছিলেন। আর তাঁর মা-বাবা থাকছিলেন হাজারীবাগ জেলার বারকাকানা এলাকায়। মেয়েটির বাবা বলেন, ‘বারকাকানা থেকে সে বুধবার (ঘটনার আগের দিন) এই বাড়িতে একা এসেছিল। ঘটনার রাতে তার বোন সঙ্গে ছিল না।’
পুলিশ জানায়, লাশের পাশে আত্মহত্যার কোনো চিরকুট পাওয়া যায়নি। রাঁচির সদর থানার একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা ফরেনসিক সাক্ষ্যপ্রমাণ জোগাড় করছি। খুব শিগগির অপরাধীদের ধরতে পারব বলে আশাবাদী।’
তবে দুঃখজনক হলো, এমন একদিনে রাঁচির ঘটনাটি ঘটেছে, যে দিনটি ছিল ‘নির্ভয়া’র গণধর্ষণ ও হত্যার চতুর্থ বার্ষিকী। চার বছর আগের এই দিনে দিল্লিতে বাসে গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন মেডিকেলছাত্রী নির্ভয়া। ওই ঘটনার পর উত্তাল হয়েছিল সমগ্র ভারত। পরিবর্তন করা হয়েছিল ধর্ষণসংক্রান্ত আইনগুলো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *