হাড়কাঁপানো শীতে ঠাকুরগাঁওয়ে বাড়ছে গরম কাপড়ের চাহিদা

Slider ফুলজান বিবির বাংলা রংপুর

15451337_1211657178926587_905248033_n

এস. এম. মনিরুজ্জামান মিলন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ে প্রচন্ডরূপে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। সন্ধ্যারাত থেকে বেলা দূপুর অব্দি কুয়াশায় ঢাকা পড়ছে জনপদ। প্রচন্ড শীতে কাবু হয়ে পড়েছে জনপদের মানুষ। দিনের বেলায় মাঝেমধ্যে একটু রোদের ঝিলিক দেখা গেলেও রোদের তেজ তেমন নেই। মনে হচ্ছে যেন, শীতবুড়ি সূয্যিমামাকেও ছাড়েনি।

লেপ-কাঁথা গায়ে জড়িয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকেই। এই হাড়কাপানো শীতে সর্বস্তরের মানুষের গরম কাপড়ের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। অবস্থাসম্পন্ন ধনী ব্যক্তিরা সহজেই শীত নিবারণ করছে দামী সোয়েটার-জ্যাকেটের দোকানগুলোয় গিয়ে পছন্দসই গরম কাপড় কিনে।

এই শীতে সবথেকে বেশি ভুগতে হচ্ছে মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষদের। দামী
দামী সোয়েটার-জ্যাকেট কেনার সামর্থ্য না থাকায় তারা সবাই ছুটছেন পুরনো গরম কাপড়ের দোকানগুলোয়। এসব দোকানে কম দামে বিদেশি পুরনো গরম কাপড় মিলছে। দামে তুলনামূলক সস্তা এবং মানের বিচারে ভালো হওয়ায় এসব দোকানে হরদম ভিড় লেগেই থাকছে।

জেলা শহরের জিলাস্কুল বড়মাঠ, গোবিন্দনগর, রোড ওয়াপদা কলোনি, ঠাকুরগাঁও রেলস্টেশনসহ শহরের যত্রতত্র গড়ে উঠেছে অস্থায়ী গরম কাপড়ের মার্কেট। এসকল খোলা মার্কেটে শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষের কাপড় পাওয়া যাচ্ছে। দাম হাতের নাগালে থাকায় সবসময় ক্রেতাদের ভিড় লেগেই থাকে অনেক বেশি।

এসব দোকানে পূর্বে শুধুমাত্র অসহায় ও গরিব মানুষেরা ছুটে আসতো। তবে এখন মানের বিচারে ভালো ও আরামদায়ক হওয়ায় ধনী-গরিব মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত সবাই ছুটছেন এসব দোকানগুলোতে।

শুধু ক্রেতারাই নয়। জেলার প্রত্যন্ত এলাকাগুলো থেকে কাপড়ের পাইকাররাও ছুটে আসছেন। তারা বাছাই ও গাইটসহ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন স্থানে। ফলে এ ব্যবসার সাথে ঠাকুরগাঁওয়ের অনেক মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িয়ে পড়েছেন।

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার লাহিড়ীবাজার থেকে আসা কাপড়ের পাইকার আব্দুল মজিদ জানান, তিনি গত দুই শীত থেকে এই পুরাতন গরম কাপড়ের ব্যবসা করে আসছেন। এ ব্যবসায় এযাবৎ তিনি লোকসানের সম্মুখীন হননি। বালিয়াডাঙ্গীতে এটি একটি লাভজনক মৌসুমী ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। এর মাধ্যমে অনেকের জীবিকা নির্বাহের পথ প্রসারিত হয়েছে। পুরনো এসব কাপড় আসায় সব শ্রেণীপেশার মানুষ শীত নিবারণের পথ খুঁজে পেয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *