আরেক জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে বিজিপি

Slider জাতীয়

d5e7df1f83c2c64e71a75e13e0a6701c-cox-s-bazar

কক্সবাজার; কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের চৌধুরীপাড়া সংলগ্ন নাফ নদীতে মাছ ধরার সময় ডিঙ্গি নৌকাসহ সোনা মিয়া (২৮) নামের এক বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)।
এদিকে সোমবার ধরে নেওয়া ছয়জন জেলের মধ্যে চারজনকে মুক্তিপণের দেড় লাখ টাকা দিয়ে ফেরত আনা হয়েছে বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্ট জেলেদের পরিবারের সদস্যরা।

আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে তিনটার অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সোনা মিয়াকে বিজিপি ধরে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। সোনা মিয়া হ্নীলা ইউনিয়নের ফুলের ডেইল গ্রামের মৃত নাজির আহমদের ছেলে।

সোনা মিয়ার পরিবারের সদস্যরা জানান, আজ দুপুরে ছোট ডিঙি নৌকায় নিয়ে সোনা মিয়া মাছ ধরতে যান। এ সময় স্পিডবোটে আসা বিজিপির একটি টহল দল অস্ত্রের মুখে তাঁকে অপহরণ করে মিয়ানমারের দিকে নিয়ে যায়।

টেকনাফ ২ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর আবু রাসেল ছিদ্দিকী বলেন, ‘বিষয়টি স্থানীয় সংবাদকর্মীদের কাছ থেকে শুনেছি, তবে অপহৃত জেলের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো লিখিতভাবে অবহিত করা হয়নি। তারপরও বিজিপির সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে ফেরত আনা চেষ্টা করা হচ্ছে।’

গত সোমবার নাফনদীতে মাছ ধরার সময় দুটি নৌকাসহ ছয় জেলেকে ধরে নিয়ে যায় বিজিপি। এরপর রাতে একটি নৌকার চারজন মোহাম্মদ হোসেন (নৌকার মালিক), মোহাম্মদ ফারুক, আবদুল করিম এবং মোহাম্মদ সাদেককে বাংলাদেশি দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ফেরত আনা হয়। মুক্তিপণের টাকা দিতে না পারায় আরও দুই জেলে সাদেক হোসেন ও আক্তার ফারুককে আটকে রেখেছে বিজিপি। তাঁরা টেকনাফ পৌরসভার চৌধুরীপাড়া (সাইডপাড়া) গ্রামের বাসিন্দা।

ওই চার জেলে মুক্তিপণের টাকা দিয়ে ফেরত আসার সময় বিজিবির সদস্যরা তাঁদের আটক করে থানা-পুলিশে সোপর্দ করেন। মিয়ানমারে অনুপ্রবেশ করার অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

ওই জেলেদের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন, বিজিপি মুক্তিপণ আদায় করতে প্রতিবছর নাফনদী থেকে জেলেদের অপহরণ করে আসছে। টাকার জন্য ধরে নেওয়া জেলেদের ব্যাপক মারধর করেন বিজিপির সদস্যরা। চার লাখ টাকা মুক্তিপণ দেওয়ার পর ওই চার জেলেকে ছেড়ে দেয় বিজিপি। আহত অবস্থায় তাঁরা ফেরত এলেও বিজিবি তাদের আটক করে মামলা দিয়েছে।

জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মজিদ  বলেন, বিজিবি চার জেলেকে থানায় হস্তান্তর করেছেন। আজ দুপুরে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *