চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫

Slider ফুলজান বিবির বাংলা

7399e4a6ef60f5f14395df9b48a05162-untitled-38

চট্টগ্রাম; চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপু ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি সুজনের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনে দুই পক্ষের কর্মীদের কথা-কাটাকাটির জের ধরে আজ বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। রাত পৌনে ১১টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দুই পক্ষের মধ্যে থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছিল। এ সময় অন্তত ১৫টি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসগুলোতে থাকা সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেনে ছাত্রলীগের সভাপতি পক্ষের কর্মীদের সঙ্গে সাধারণ সম্পাদকের কর্মীদের কথা-কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে রাত সাড়ে নয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আমানত হলে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে এটি পাশের শাহজালাল হলেও ছড়িয়ে পড়ে। দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র হাতে সংঘর্ষে লিপ্ত হন।

হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল উদ্দিন মো. জাহাঙ্গীর রাত পৌনে ১১টার দিকে মুঠোফোনে  বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি। এখনো দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে।’ একই কথা জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোহাম্মদ আলী আজগর চৌধুরী।

এ দিকে বিশ্ববিদ্যায়ের মেডিকেল সেন্টার সূত্র জানায়, ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫ জনকে সেখানে ভর্তি করা হয়। তাঁদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর। তাঁদের উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পক্ষ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের এবং সাধারণ সম্পাদক পক্ষ সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী বলে পরিচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *