এগুলো দেখার জন্য কি বেঁচে আছি?’

Slider বাংলার মুখোমুখি

64f805dde4cdafc34bc53f92c261f649-emajuddin

ঢাকা; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদ বলেছেন, ৮৪ বছরে সামাজিক মূল্যবোধের এত অবক্ষয় তিনি আর দেখেননি। দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দুঃখ হয়, এগুলো দেখার জন্য কি বেঁচে আছি?’

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে নারী ও শিশুদের ধর্ষণ, সংখ্যালঘুদের নির্যাতন এবং মিয়ানমারে মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বরতার ঘটনার উল্লেখ করে এমাজউদ্দীন আহমদ এ কথা বলেন। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫২তম জন্মদিন উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী লেখক পরিষদ নামের একটি সংগঠন এ সভার আয়োজন করে।

এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘সমাজে আজ যে অবস্থা চলছে, যে দিকে তাকাই না কেন, সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটেছে। আগামী ১৫ ডিসেম্বর আমি ৮৪ বছরে পা দেব। এই ৮৪ বছরে এত সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় দেখিনি।’ তিনি বলেন, ‘লেখাপাড়া করেছি, শিক্ষকতা করেছি, বিভিন্ন পর্যায়ে দেশ-বিদেশে ঘুরেছি। বিদেশে গেলে দেশটাকে আরও অনেক সুন্দর মনে হয় এবং অনেক সমৃদ্ধ জায়গা থেকেও ফিরে আসতে ইচ্ছে করে অনেক সমস্যায় জর্জরিত ছোট্ট এই দেশটায়। কিন্তু আজ মনে হয় না, এখানে মানুষ বসবাস করে বা করার মতো।’

সাবেক এই উপাচার্য বলেন, ‘বলতেও ঘেন্না লাগে, আমার নাতি-নাতনি বা তাদের চেয়ে আরও ছোট বয়সের মেয়েদের ওপর যে নির্যাতন এই সমাজে চলছে। অথচ এই সমাজে সরকার আছে, আইন প্রণয়নকারী ব্যক্তি বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ব্যক্তিরাও আছেন। তারপরও যে নির্যাতন, নোংরামি—তা কল্পনা করা যায় না।’

সম্প্রতি সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের ঘটনার উল্লেখ করে এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘মাত্র কয়েক সপ্তাহ ধরে যে ঘটনাগুলো দেশে ঘটছে, অতীতে আমরা এ রকম দেখিনি। আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে গিয়েছিলাম। হিন্দুদের ১৪টি মন্দির এবং প্রায় ৭১ বা ৭২টি বাড়িতে যেভাবে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে, সেটা দেখে আমি কয়েক দিন ঘুমাতে পারিনি।’

এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলেন, শুধু দেশে কেন, মিয়ানমারে কী নির্মমভাবে ছোট বাচ্চাদের, বৃদ্ধ নারীদের বেইজ্জত করা হচ্ছে, হত্যা করা হচ্ছে। অনেকে প্রাণে বাঁচার জন্য নাফ নদীতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বাংলাদেশ হয়তো কিছু লোককে বাঁচাতে পারত, তাতে আমাদের কষ্ট হতো বটে। এ ক্ষেত্রেও দেখছি, একধরনের ঔদাসীন্য, নির্মমতা।’

ছড়াকার আবু সালেহের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন জিয়া পরিষদের মহাসচিব মাহবুবুল আলমসহ অন্যরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *