সিলেটে ৪.৫০ কোটি ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে ভিআইপি সড়ক

Slider ফুলজান বিবির বাংলা

img_20161122_201944

সিলেট প্রতিনিধি :: সাড়ে চারকোটি টাকা ব্যয়ে সিলেট নগরীর মিরের ময়দান থেকে সুবিদবাজার পর্যন্ত ভিআইপি সড়ক নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক)।

এ জন্য পুলিশ বিভাগ ১৮ শতক জায়গা ছেড়ে দিয়েছে। ওই জায়গা ছাড়ায় এখন রাস্তার প্রস্থ বৃদ্ধি পেয়েছে ৮ ফুট। সড়কটি প্রশস্ত করতে ওই সড়কে পাশের ১২৩টি গাছ কাটা হয়েছে।

পুরাতন ড্রেন ভেঙে নতুন করে করা, রাস্তা প্রশস্তকরণ, রাস্তায় ডিভাইডার স্থাপন, বৃক্ষরোপণ, দু’পাশে বড় ড্রেন করা এবং পুলিশ লাইনের সীমানার দেয়াল ভেঙে নতুন করে করার জন্য কয়েক ধাপে টেন্ডার আহ্বান করা হয়।

সূত্র জানায়, মিরের ময়দান মোড় থেকে সুবিদবাজার মোড় পর্যন্ত ৭শ’ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৪২ ফুট প্রস্থের এ সড়কটি কেওয়াপাড়া পর্যন্ত প্রস্থ ৮ ফুট বৃদ্ধি পেয়ে ৫০ ফুট হবে। সড়কের দক্ষিণ পাশে ইতিমধ্যে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আরসিসি ড্রেনের কাজ করছে।

গত জুন মাসে নতুনভাবে এই পাশে ড্রেন নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করে সিসিক। দক্ষিণ পাশের ড্রেন নির্মানের কাজ পায় দুটি প্রতিষ্ঠান। জামিল অ্যান্ড ব্রাদার্স নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৬৭ লাখ টাকা এবং অপর প্রতিষ্ঠান গাজী ট্রেডার্স পায় ৬৩ লাখ টাকার ড্রেন নির্মাণ কাজ। এই পাশের ড্রেন নির্মাণ কাজ আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে বলে জানিয়েছেন গাজী ট্রেডার্সের পরিচালক সাজ্জাদ বক্স। তিনি বলেন, অপর পাশের দরপত্র আহ্বান করা হয় গত মাসে। অন্য একটি প্রতিষ্ঠান এ কাজ পেয়েছে। এ কাজের এখন কার্যাদেশ হয়নি।

সিসিক সূত্র জানায়, দক্ষিণ পাশের ড্রেন নির্মাণের জন্য ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা, উত্তর পাশের ড্রেন নির্মাণের জন্য ১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা, সড়কের মধ্যখানে ডিভাইডার ও বৈদ্যুতিক কাজের জন্য ৪৫ লাখ টাকা এবং পুরাতন ড্রেন ভরাট করে সড়ক করতে ৯৭ লাখ টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে। কয়েকটি কাজের টেন্ডারও হয়ে গেছে।

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব বলেন, এ সড়কটি হবে একটি ভিআইপি সড়ক। সড়কের দু’পাশে বড় ড্রেন নির্মাণ হবে। ড্রেনটি মালনী ছড়ায় মিলিত হবে। রাস্তার মধ্যখানে ডিভাইডার ও আলোকিতকরণ এবং বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগানো হবে। সব মিলিয়ে ব্যয় হবে সাড়ে ৪ কোটি টাকা।

এনামুল হাবীব আরো বলেন, এ সড়কটি ভিআইপি সড়কে পরিণত করতে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত পুলিশ বিভাগের সাথে কথা বলেন। তখন পুলিশ বিভাগ তাদের ১৮ শতক জায়গা ছেড়ে দেয়। এ জন্য পুলিশ লাইনের সীমানার দেয়াল, রান্নাঘর, ইমাম সাহেবের কক্ষ ভাঙা হচ্ছে। এগুলো নতুন করে নির্মাণ করে দিচ্ছে সিটি কর্পোরেশন। সড়কটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে এ এলাকার পরিবেশগত দিক অনেক ভালো থাকবে।

ব্লু-বার্ড স্কুলের সামনে যানজট থাকবে না। আর সেজন্য ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্লু-বার্ড স্কুলের পাশের ব্রিজ ভেঙে বড় করা হবে। সব কাজ আগামী মার্চ মাসের শেষের দিকে সম্পন্ন হবে।

সিসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, সড়কের দক্ষিণ পাশের ড্রেন নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে। উত্তর পাশের ড্রেনও প্রশস্ত করা হবে। পুরাতন ড্রেন ভরাট করে ৯৭ লাখ টাকা ব্যয়ে কেওয়াপাড়া পর্যন্ত সড়ক করা হবে ৫০ ফুট প্রস্থের।

তিনি আরো বলেন, সড়কের কাজের শুরুতেই ১২৩টি গাছ বন বিভাগ ও সংশ্লিষ্টদের অনুমতিক্রমে কাটা হয়েছে। এ গাছ কাটার কারণে ৮শ’ গাছ নতুন করে রোপণ করা হয়েছে রিকাবিবাজার সড়কে। মিরের ময়দান থেকে সাগরদিঘিরপার পর্যন্ত সড়কের মাঝখানেও বৃক্ষরোপণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *