নতুন প্রজন্মের প্রতীক তারেক রহমান —- এস, এম, জাহাঙ্গীর হোসেন

Slider সাহিত্য ও সাংস্কৃতি

15209103_1819312148328078_635603294_n

 

রাজনীতির অঙ্গনে চিন্তাশীল নতুন প্রজন্মের

প্রতীক তারেক রহমান

—- এস, এম, জাহাঙ্গীর হোসেন

তারেক রহমানের সাথে আমার শেষ দেখা হয়েছে এ বছর ফেব্রুয়ারিতে। লন্ডনে।

এর আগেরবার দেখা হয়েছিল ২০১৪-এর এপ্রিলে।

তিনি দেখা হলেই সবার আগে নেতাকর্মীদের খোঁজ খবর নেন।

সংগঠনের কথা জিজ্ঞেস করেন।

বাংলাদেশের নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেন।

সুদূর লন্ডনে বসে একজন মানুষ কতটা বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের জনগন নির্ভর

চিন্তা ভাবনায় নিজেকে নিমজ্জিত রাখতে পারেন,

তারেক রহমান তার জলন্ত প্রমাণ।

বাংলাদেশে থাকাকালীন সময়ে তাঁকে খুব কাছ থেকে দেখেছি।

যে দেশে তাঁর পিতা ছিলেন রাষ্ট্রপতি, মা ছিলেন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী,

সে দেশের রাজনীতিতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার পদ্ধতি হিসেবে

তৃণমূল রাজনীতিকে বেছে না নিলেও খুব একটা অসুবিধা হতো না।

তবু তিনি ছুটে গেছেন তৃণমূল মানুষের কাছে, তৃণমূল নেতাকর্মীদের কাছে।

সে বার দেশে প্রচণ্ড শীত পড়েছে।

উত্তরাঞ্চলের শৈত্যপ্রবাহে মানুষ মারা যাচ্ছে।

আমাদের সাথে নিয়ে উনি চলে গেছেন সেখানে

শীতবস্ত্র বিতরণ করতে । এ

কদিনের জন্য গিয়ে তিনদিন ঘরে ফিরেননি।

সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখ নিজে ভাগ করে নেয়ার

অকৃত্রিম প্রবনতা তাঁর মধ্যে আমি দেখেছি।

প্রকাশ্য রাজনীতিতে আসার আগেই

তিনি সামাজিক উন্নয়ন ও সেবামূলক কর্মকাণ্ডে নিজেকে যুক্ত করেন।

এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে তিনি ‘জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন’

নামে একটি অরাজনৈতিক সংগঠন গড়ে তোলেন।

এই সংগঠনের আওতায় তিনি ‘কমল বীজ প্রকল্প’, ‘হাঁস, মুরগী ও ছাগল পালন

জাতীয় কর্মসূচি’, ‘অ্যাজমা কেয়ার অ্যান্ড প্রিভেনশন সেন্টার’, ‘বৃত্তি প্রকল্প’, ‘

বন্যা পুনর্বাসন কার্যক্রম’, ‘কমল পানি প্রকল্প’ ও ‘সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি’সহ

বেশ কিছু কর্মসূচি ও প্রকল্প শুরু করেন।

এভাবে তারেক রহমান রাজনীতিকে সেবায় পরিণত করেন।

তার এই সেবামূলক রাজনৈতিক ভাবনা ও কর্মসূচি

তাকে দেশব্যাপী যতটা না রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত করেছে,

তার চেয়ে বেশি পরিচিত করেছে সেবক হিসেবে।

তিনি সারাদেশ ঘুরে বেড়াতেন।

প্রায় প্রতিটি সফরেই আমি তাঁর সাথে থাকতাম।

আর মুগ্ধ হয়ে দেখতাম, একজন উদারমনা,

কর্তব্যপরায়ণ, পরিশ্রমী, সাবলীল ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন তারেক রহমানকে।

তাঁর সফরসঙ্গী হিসেবে সাথে থাকা নেতাকর্মী,

কর্মকর্তা-কর্মচারী এমনকি গাড়ির ড্রাইভারদের না খাইয়ে

কখনও তাঁকে খেতে বসতে দেখিনি।

তিনি আমাদের সবসময় বলতেন এবং এখনও বলেন,

দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য কাজ কর।

যারা দায়িত্বশীল পদে আছো তারা সংগঠনের

তৃণমূল নেতাকর্মীদের আশা আকাঙ্ক্ষার পক্ষে কাজ কর।

তারেক রহমান রাজনীতির অঙ্গনে চিন্তাশীল এক নতুন প্রজন্মের প্রতীক।

তাই তিনি দল ও রাষ্ট্রের ভবিষ্যতের কথা ভেবে

নতুন নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টির জন্য ২০০৫ সালে

শুরু করেন তৃণমূল প্রতিনিধি সভা।

যা তাঁকে শহীদ জিয়ার অনুসারী ও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী রাজনীতির

পরিমণ্ডলে আজ ব্যাপকভাবে সমাদৃত করেছে

ও দেশব্যাপী তাঁকে ব্যাপক জনপ্রিয় করে তুলেছে।

তাঁর আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়েই

বর্তমান সরকার বিভিন্ন মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে  রায় করাচ্ছে।

সাঁজা ঘোষণা করছে।

ক্ষমতাসীনরা ভালো করেই জানেন,

তারেক রহমানকে এদেশের সাধারন জনগণ

ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দেখতে চায়।

তৃণমূল রাজনীতির প্রাণ পুরুষ

জনাব তারেক রহমানের ৫২তম জন্মদিন আজ।

আজ এই শুভদিনে তাঁর প্রতি রইলো সমস্ত শুভকামনা

লেখকঃ এস.এম. জাহাঙ্গীর হোসেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *