ঢাকা; সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভুয়া সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার সমস্যাটি ব্যাপক। বুঝে কিংবা না বুঝে অনেকেই ভুয়া সংবাদের লিংক শেয়ার করেন। আর যারা এসব সংবাদ তৈরি করেন, তাদের উদ্দেশ্য থাকে চটকদার শিরোনাম বা ভুয়া সংবাদ দিয়ে মানুষকে ওই সংবাদে ক্লিক করতে আকৃষ্ট করা। তাদের মূল উদ্দেশ্য থাকে, এর মাধ্যমে টু-পাইস কামিয়ে নেওয়া। কিন্তু এই ভুয়া সংবাদ সমস্যাটি এখন এত প্রকট আকার ধারণ করেছে যে, শুক্রবার ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ এক পোস্টে ঘোষণা দিলেন ফেসবুক এ সমস্যা সমাধানে কাজ করছে। তিনি বলেন, সাধারণত চলমান কোন প্রক্রিয়া নিয়ে আমরা কথা বলি না। কিন্তু এ বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনায়, আমরা কী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি, তা প্রকাশ করছি।
বিজনেস ইনসাইডার জানিয়েছে, গত সপ্তাহে এ সমস্যাটি নিয়ে উদ্বেগ উড়িয়ে দিয়েছিলেন জাকারবার্গ। তবে তিনি এখন দৃশ্যত একে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন। তবে কীভাবে এই সমস্যা সমাধান করবে ফেসবুক?
তিনি নিজেই এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘এই সমস্যাটি বেশ জটিল। প্রযুক্তি বা দর্শন Ñ দুই দিক থেকেই। আমরা মানুষকে কথা বলার সুযোগদানে বিশ্বাস করি। এর ফলে মানুষ যেকোন সময় যা ইচ্ছা তা শেয়ার করতে পারছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা সত্য মিথ্যা নির্ধারণ করতে চাই না। এ কারণে সংবাদের সত্যতা নিশ্চিতে আমরা আমাদের ফেসবুক কমিউনিটি ও বিশ্বস্ত তৃতীয় পক্ষের উপর নির্ভর করবো।’ স্ট্যাটাসের শেষে তিনি সম্ভাব্য তিনটি সমাধানের কথা উল্লেখ করেন।
প্রথমটি হলো, শক্তিশালী শনাক্ত করার ব্যবস্থা। ব্যবহারকারীরা নিজেরাই সত্য বা মিথ্যা সংবাদ ধরিয়ে দিতে পারবেন। কিন্তু এমন এক ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে, যাতে মানুষ শনাক্ত করার আগেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভুয়া সংবাদ ধরা পড়ে।
দ্বিতীয় উপায় হলো, ভুয়া সংবাদ শনাক্ত বা ভুয়া তথ্য দ্রুত ধরে ফেলতে ব্যবহারকারীদের জন্য ব্যবস্থা সুগম করা। গ্রহণযোগ্য তৃতীয় পক্ষ তথা তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সংবাদের সত্যতা যাচাইয়ের কাজ করা। ফেসবুক ব্যবহারকারী ও তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে যেসব সংবাদ ভুয়া বলে চিহ্নিত হবে, সেই সংবাদের লিংকের সঙ্গে সতর্কতামূলক চিহ্ন জুড়ে দেওয়া হবে। এ চিহ্ন দেখে মানুষ পড়ার আগেই বুঝতে পারবেন যে, এ তথ্য ভুয়া। তৃতীয়ত, সাংবাদিক ও গণমাধ্যম শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের কাজ করার মাধ্যমে তথ্য যাচাইয়ের পদ্ধতিকে আরও শক্তিশালী করা।
প্রসঙ্গত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ব্যাপক আকারে ভুয়া সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় ফেসবুকের সমালোচনা হয়েছিল বেশ। এসব ভুয়া তথ্য মূলধারার গণমাধ্যমের চেয়েও বেশি ছড়িয়েছিল! এসব ভুয়া সংবাদ প্রতিবেদন মানুষকে ভোটদানে প্রভাবিত করেছিল বলেও অনেকে মনে করেন। এ ভুয়া সংবাদের কড়া সমালোচনা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও।
বিজনেস ইনসাইডার জানিয়েছে, গত সপ্তাহে এ সমস্যাটি নিয়ে উদ্বেগ উড়িয়ে দিয়েছিলেন জাকারবার্গ। তবে তিনি এখন দৃশ্যত একে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন। তবে কীভাবে এই সমস্যা সমাধান করবে ফেসবুক?
তিনি নিজেই এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘এই সমস্যাটি বেশ জটিল। প্রযুক্তি বা দর্শন Ñ দুই দিক থেকেই। আমরা মানুষকে কথা বলার সুযোগদানে বিশ্বাস করি। এর ফলে মানুষ যেকোন সময় যা ইচ্ছা তা শেয়ার করতে পারছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা সত্য মিথ্যা নির্ধারণ করতে চাই না। এ কারণে সংবাদের সত্যতা নিশ্চিতে আমরা আমাদের ফেসবুক কমিউনিটি ও বিশ্বস্ত তৃতীয় পক্ষের উপর নির্ভর করবো।’ স্ট্যাটাসের শেষে তিনি সম্ভাব্য তিনটি সমাধানের কথা উল্লেখ করেন।
প্রথমটি হলো, শক্তিশালী শনাক্ত করার ব্যবস্থা। ব্যবহারকারীরা নিজেরাই সত্য বা মিথ্যা সংবাদ ধরিয়ে দিতে পারবেন। কিন্তু এমন এক ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে, যাতে মানুষ শনাক্ত করার আগেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভুয়া সংবাদ ধরা পড়ে।
দ্বিতীয় উপায় হলো, ভুয়া সংবাদ শনাক্ত বা ভুয়া তথ্য দ্রুত ধরে ফেলতে ব্যবহারকারীদের জন্য ব্যবস্থা সুগম করা। গ্রহণযোগ্য তৃতীয় পক্ষ তথা তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সংবাদের সত্যতা যাচাইয়ের কাজ করা। ফেসবুক ব্যবহারকারী ও তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে যেসব সংবাদ ভুয়া বলে চিহ্নিত হবে, সেই সংবাদের লিংকের সঙ্গে সতর্কতামূলক চিহ্ন জুড়ে দেওয়া হবে। এ চিহ্ন দেখে মানুষ পড়ার আগেই বুঝতে পারবেন যে, এ তথ্য ভুয়া। তৃতীয়ত, সাংবাদিক ও গণমাধ্যম শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের কাজ করার মাধ্যমে তথ্য যাচাইয়ের পদ্ধতিকে আরও শক্তিশালী করা।
প্রসঙ্গত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ব্যাপক আকারে ভুয়া সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় ফেসবুকের সমালোচনা হয়েছিল বেশ। এসব ভুয়া তথ্য মূলধারার গণমাধ্যমের চেয়েও বেশি ছড়িয়েছিল! এসব ভুয়া সংবাদ প্রতিবেদন মানুষকে ভোটদানে প্রভাবিত করেছিল বলেও অনেকে মনে করেন। এ ভুয়া সংবাদের কড়া সমালোচনা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও।