তৈমুর বিএনপির প্রার্থী

Slider জাতীয় ফুলজান বিবির বাংলা

7e3c54a30f00c76b7cf8a3cfe30b6e85-toi

ঢাকা; নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলের মেয়র প্রার্থী হিসেবে তৈমুর আলম খন্দকারকে চূড়ান্ত করেছে বিএনপি। তৈমুর আলম বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা। কিছুদিন আগেও তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন।

গতকাল শুক্রবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক বৈঠকে তৈমুর আলমকে দলীয় প্রার্থী হতে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। বৈঠকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, তৈমুর আলম ও নারায়ণগঞ্জের কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন।

আজ শনিবার দুপুরে  তৈমুর আলম  বলেন, গতকাল রাতের বৈঠকে তাঁকে মেয়র প্রার্থী হতে বলা হয়েছে। তিনি দলের প্রতি অনুগত। তবে বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় ও নির্বাচনী ব্যবস্থায় তাঁর প্রার্থী হওয়ার কোনো আগ্রহ নেই। কেন আগ্রহ নেই, সেটাই চেয়ারপারসনকে বলেছেন। তবে দল যদি তাঁকে প্রার্থী করার ব্যাপারে অনড় থাকে, তিনি নির্বাচনে অংশ নেবেন।

গতকালের বৈঠকে উপস্থিত নারায়ণগঞ্জের একজন নেতা বলেন, তৈমুর আলম নির্বাচন করতে চান না। কেন চান না, সেটাও তিনি ব্যাখ্যা করেছেন। এখন নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে না। বিএনপির প্রার্থী হিসেবে এই নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়লাভ করা সম্ভব নয় বলেই তৈমুর আলম মনে করেন। এই বিষয়গুলো তিনি দলীয় চেয়ারপারসনকে বারবার বলেছেন। ওই নেতা বলেন, তবে এটা ঠিক, বিএনপি প্রার্থী করলে তৈমুর আলম নির্বাচনে অংশ নেবেন।

গত বৃহস্পতিবার রাতে গুলশানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকের একপর্যায়ে সংবাদ সম্মেলন করেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে।

আজ দুপুরে তৈমুর আলম বলেন, ‘ভালো নির্বাচন না হলে প্রার্থী হয়ে কী লাভ। চেয়ারপারসনকে বিগত উপজেলা, ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভা নির্বাচনের কথা বলেছি। নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনের কথাও বলেছি। দলের নির্বাচিতদের মধ্যে যারা সরকারের দালালি করছে না, তারা সবাই হয় জেলে, নয়তো মেয়র, চেয়ারম্যান পদ থেকে বহিষ্কার হয়ে আছে। এ অবস্থায় নির্বাচন করার যৌক্তিকতা নিয়ে তাঁকে (চেয়ারপারসন) বলেছি।’

বিগত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ছিলেন তৈমুর আলম। ভোটের আগের দিন বিএনপি ওই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায়। যদিও বিএনপির এই সিদ্ধান্ত নিজের নয় বলে তখন জানিয়েছিলেন তিনি।

তৈমুর মনে করেন, দলের প্রতি অনুগত থাকায় তিনি দলীয় যেকোনো সিদ্ধান্ত মানবেন। তবে তিনি চেয়ারপারসনকে বলেছেন, নির্বাচন করার ব্যাপারে তাঁর আগ্রহ নেই। সেই কারণগুলোও ব্যাখ্যা করেছেন। এখন দেখা যাক, দল শেষ পর্যন্ত কী সিদ্ধান্ত দেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *