শ্রীপুরে ১১ ভূয়া মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে থানায় মামলা

Slider ফুলজান বিবির বাংলা

16658_gazipur

রাতুল মন্ডল, শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি: গাজীপুরের শ্রীপুরে বুধবার (১৬ নভেম্বর) রাতে উপজেলার ডোয়াইবাড়ি গ্রামের মৃত শাহাদ আলী মন্ডলের ছেলে শ্রীপুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম বাদী হয়ে ১১জন ভূয়া মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে শ্রীপুর মডেল থানায় মামলা (নং ১৮) দায়ের করেছেন।

মামলার বিবাদীরা হলেন, বরমী গ্রামের মৃত শাহাদাত হোসেনের ছেলে সামসুল আলম (৬২), পৌর শহরের মৃত আজিজ মন্ডলের ছেলে আব্দুল মালেক (৬২), মুদিবাড়ি গ্রামের সায়েদ আলী ফকিরের ছেলে মফিজ উদ্দিন (৬৮), বেড়ামতলী গ্রামের মৃত সাবেদ আলীর ছেলে মো. আবু সাইদ (৬৪), মিটালু গ্রামের মৃত আ. আজিজের ছেলে আহ্সান উদ্দিন (৭০), হয়াতখারচালা গ্রামের মৃত মজলিস উদ্দিনের ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন (৬১), একই গ্রামের মৃত এমএ বারীর স্ত্রী মেহেরুন নেছা (৫০), মৃত কলিম উদ্দিনের ছেলে এ নূর মোহাম্মদ (৭০), মৃত ছমির উদ্দিনের ছেলে মুনসুর রহমান (৬৫), বাসকুপা গ্রামের চন্দ্র মোহন সরকারের ছেলে জৌতিশ চন্দ্র সরকার (৬২), একই গ্রামের মৃত মনিন্দ্র চন্দ্র বিশ^াসের ছেলে খিতিশ চন্দ্র বিশ্বাস (৬০)।

মামলা সূত্রে জানা যায়, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ মুক্তিযোদ্ধ মন্ত্রণালয়ের চোখ ফাঁকি দিয়ে ভূয়া সনদ তৈরি করে নিজেদের মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে সরকারি সকল সুবিধা গ্রহণ করে আসছিলেন। তাদের এই জালিয়াতির ছক স্থানীয় প্রশাসনও বুঝতে না পারায় তারা অনায়াসে বিজয় দিবস থেকে শুরু করে প্রশসানের সকল অনুষ্ঠানে সম্মানিত হতো। তাদের এই জালিয়াতি বুঝতে পেরে ৩৫ জন ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা চিহিৃত করে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ২ তারিখে মুক্তিযোদ্ধ মন্ত্রণালয়ে চিঠি প্রেরণ করে মামলাটির বাদীসহ আরো বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা। তার প্রেক্ষিতেই ওই সালের ১৫ সেপ্টেম্বর মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তাদের সকল ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং জেলা প্রশাসকে ঘটনার সঠিক তদন্ত করারও নির্দেশ প্রদান করেন। তদন্ত চলাকালীন সময় ভূয়া মুক্তিযোদ্ধারা তাদের ভাতা ফিরে পেতে মুক্তিযোদ্ধ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. নরুল ইসলামের স্বাক্ষর জাল করে ভূয়া অফিস আদেশ তৈরি করে জেলা প্রশাসক,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সমাজ সেবা অফিসারকে অনুলিপি দেন।

শ্রীপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধ সংসদের কমান্ডার মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, মুক্তিযোদ্ধ তালিকায় এই ১১ জনের নাম আছে। কিন্তু এরা মুক্তিযোদ্ধ করেছেন কি’না তা আমার জানা নেই। আমান জানা মতে একটি অভিযোগে এদের সকল সরকারি ভাতা বন্ধ আছে।

শ্রীপুর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মাদ সালাউদ্দিন হিরা জানান, তদন্ত সাপেক্ষে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিজ্ঞ আদালতে দ্রুত প্রেরণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *