লতিফ সিদ্দিকীকে কে বুধবারের মধ্যে গ্রেফতার না করলে হরতাল

Slider গ্রাম বাংলা জাতীয় টপ নিউজ সারাবিশ্ব

Hartal_pic_new_216527030
গ্রাম বাংলা ডেস্ক: সরকারকে বেঁধে দেয়া ১৫ অক্টোবর তথা কাল বুধবারের মধ্যে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির কার্যকরী পদক্ষেপ না নিলে হরতাল অবরোধ সহ কঠোর কর্মসূচী দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সম্মিলিত ইসলামী দল সমূহের নেতারা।

মঙ্গলবার তাদের অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভা থেকে নেতৃবৃন্দ এ ঘোষণা দেন।

সভায় আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে মুরতাদ উল্লেখ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, তিনি মহানবী (সা.), পবিত্র হজ্জ ও তাবলীগ জামাত নিয়ে কটুক্তি করে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর বুকে আগুন জ্বালিয়েছে। অপর দিকে নিজেকে ধর্মদ্রোহী ঘোষণা দেয়ার দম্ভোক্তি করার স্পর্ধা দেখিয়েছেন। তার এ মার অযোগ্য বক্তব্য প্রত্যাহার এবং জাতীর কাছে নিঃশর্ত মা চাইতে হবে।
সভায় নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, স্ব-ঘোষিত ধর্মদ্রোহী, মুরতাদ আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে মন্ত্রীসভা ও আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম পদ থেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্তকে মোবারকবাদ জানাই। তবে মুরতাদ হিসেবে আব্দুল লতিফ সিদ্দীকিকে এখনই আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
ইসলামে মুরতাদের শাস্তি হল মৃত্যুদন্ড। হাদীস শরীফে বলা হয়েছে ‘যে মুরতাদ হয়ে যাবে তাকে হত্যা কর’। (বুখারী ও মুসলিম) অতএব সরকারের দায়িত্বই হলো, তাকে গ্রেফতার করার কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা, যাতে আর কোন কুলাঙ্গার, ধর্মদ্রোহী, নাস্তিক, মুরতাদ, ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলার দুঃসাহস দেখাতে না পারে।
বর্ষিয়ান আলেমে দ্বীন মাওলানা মুহিউদ্দীন খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী, অধ্য মাওলানা যাইনুল আবেদীন, মাওলানা জাফরুল্লাহ খান, মাওলানা আবু তাহের জিহাদী, মাওলানা মুহিউদ্দীন রব্বানী, ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী প্রমুখ।
বৈঠকে আরো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, ১৪ ও ১৫ অক্টোবর বিভিন্ন ইসলামী দল, সংগঠন ও বিভিন্ন মারকাজে কয়েকটি টিম গণসংযোগে বের হবে। এবং ১৬ অক্টোবর সকাল ১১টায় সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে।

খেলাফত মজলিস
নেতৃবৃন্দ বলেছেন, আওয়ামীলীগের নেতা লতিফ সিদ্দিকীর হজ্ব ও মহানবী সা.কে নিয়ে অবমাননাকর ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যের দায় আওয়ামীলীগ ও বর্তমান সরকার এড়াতে পারে না। জনগনের আইওয়াশের চেষ্টা না করে অবিলম্বে লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেফতারের ব্যবস্থা করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। সংঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নির্বাহী পরিষদের সভায় তারা এসব কথা বলেন। নায়েবে আমীর মাওলানা সৈয়দ মজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে ও মহাসচি ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন যুগ্মমহাসচিব অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, অধ্যাপক এম কে জামান, শেখ গোলাম আসগর, সাংগঠনিক ও বায়তুলমাল সম্পাদক মুহাম্মদ মুনতাসির আলী প্রমুখ।

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম
সভাপতি শায়েখ আব্দুল মোমিন ও মহাসচিব মুফতী মুহাম্মদ ওয়াক্কাস এক বিবৃতিতে বলেছেন, পবিত্র হজ, মহানবী সা. এবং তাবলীগ জামাতকে নিয়ে জঘন্য কটুক্তির পর মুরতাদ আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী এখন কোলকাতায় বসে আরো ঔদ্ধত্যসহ ধর্মদ্রোহী হবার হুংকার ছুড়ে ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। সেজন্য তাকে শুধু মন্ত্রীসভা ও দলীয় পদবী থেকে বাদ দিলেই চলবে না, প্রয়োজনে ইন্টারপোলের সাহায্যে ধরে এনে কঠিন শাস্তির সম¥ুখিন করতে হবে। সেই সাথে অবিলম্বে নবী-রাসূল ও ধর্ম অবমাননাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের বিধান রেখে আইন প্রণয়ন করতে হবে। কিন্তু এ বিষয়ে সরকারের টালবাহানায় দেশে কোনো কঠিন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তার দায়ভার সরকারকেই বহন করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *