সম্পাদকীয়: ১৫ আগষ্ট-৩রা নভেম্বর সময়ের ঘটনা তদন্তে কমিশন গঠন জরুরী

Slider বাধ ভাঙ্গা মত সম্পাদকীয় সারাদেশ

 

faqireliasblog_1257265222_1-398_1

 

চলে গেলো ৩ নভেম্বর ২০১৬। আজ থেকে ৪১ বছর আগে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দানকারী জাতীয় চার নেতা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, অর্থমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এম মনসুর আলী, খাদ্য ও ত্রাণমন্ত্রী এ এইচ এম কামারুজ্জামান। বাংলাদেশ তার সত্তা খুঁজে পাবে তখনই, যখন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুসহ সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন (অব.) এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামানদের মতো সব নেতার আত্মত্যাগ, অবদান আমরা সঠিক এবং পৃথকভাবে মূল্যায়ন করতে পারব। তাঁদের আত্মত্যাগ ও আত্মদান খুলে দিক ইতিহাসের সেই জানালা, যার গভীরে ঢুকে এই জাতি খুঁজে পাবে তার সত্তা।’

এই কথাগুলে লিখেছেন নিজের ফেইসবুক ওয়ালে সোহেল তাজ। তিনি আবেগঘন এই লেখাটি দিয়েছেন। তার লেখায় কোথাও যেন হাহাকার বিরাজ করছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের এই চার বীর সেনাপতির আত্মদান জাতি কি ভাবে মূল্যায়ন করছে তা নিয়েও চাপা ক্ষোভ রয়েছে সোহেল তাজের লেখায়।

ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পর ৩রা নভেম্বর কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হল। ১৫ আগষ্ট থেকে ৩রা নভেম্বর এই সময়ে আওয়ামীলীগের অন্যান্য সিনিয়র নেতাদের উপর এ ধরণের কোন হৃদয় বিদারক এ্যাকশন হয়নি। জাতীয় চার নেতার সঙ্গে সঙ্গে যাদের নির্যাতিত হওয়ার কথা ছিল বা করুন পরিণতি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল তাদের মধ্যে অনেকেই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়ও ছিলেন খুনি মুশতাকের সরকারে। অভিযোগ রয়েছে, বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের মধ্যেও খুনি মুশতাক সরকারের কেউ কেউ আছেন।

যদি তাই হয়, তবে সহজেই প্রশ্ন থেকে যায়,  ৭৫ সনের ১৫ আগষ্ট থেকে ৩রা নভেম্বর পর্যন্ত প্রেক্ষাপট বিশ্লেষন করে ও আজকের প্রেক্ষাপট আলোচনায় নিয়ে জেল হত্যার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক ন্যায় বিচার জরুরী হয়ে যায়। এতে কারা কারা ক্ষতিগ্রস্থ হবেন তা না ভেবে জাতিকে কলংকমুক্ত করার জন্য চোখ বন্ধ করে বিচার করা উচিত। বঙ্গবন্ধু হত্যা, জাতীয় চার নেতা হত্যাকে একই সুত্রে গাঁথা মনে করে একটি কমিশন গঠন করা উচিত। আর ওই কমিশনের নিরপেক্ষ রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে বিচার সম্পন্ন করলে  ৩রা নভেম্বর ও ১৫ আগষ্ট সহ সকল বড় ধরণের ঘটনার পুন;রাবৃত্তি রোধে পদক্ষেপ নেয়া হবে। এটাই জাতির এখন একমাত্র প্রত্যাশা।

 

ডক্টর এ কে এম রিপন আনসারী

এডিটর ইনচীফ

গ্রামবাংলানিউজটোয়েন্টিফোরডটকম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *