ঝিনাইদহে এবার প্রতারক চক্রের ফাঁদ-পাকা ধানে মই !

Slider জাতীয়

jhenaidah-paddy-pic
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ জমি চাষ করেছেন, ক্ষেতে ধান লাগিয়েছেন, যতœ করে নিড়ানী সার ঔষধ দিয়েছেন, ক্ষেতের ধান পেকে গিয়েছে অথচ তা কাটতে দেয়া হচ্ছে না। ঝিনইদহের শৈলকুপার পার কাঁচেরকোল গ্রামের প্রান্তিক কৃষক সাইদুল ও তুহিন জোয়ার্দ্দারের ঘরে আমন মৌসুমে ঘরে উঠবে পাকা ধান, এই বাস্তবতা এখন দু:স্বপ্ন করে দিয়েছে প্রতারক চক্র।

নানা ফাঁদ পেতে, জাল কাগজপত্র বানিয়ে এখন দাবি করা হচ্ছে ক্ষেতের ধান তাদের পাওনা, জমি তাদের । এই চাষীরা আদালতের স্মরণাপন্ন হলে আদালত জমির স্থিতিশীল অবস্থা জারি রাখার নির্দেশনা দিয়েছ্নে। একই সাথে দ্বিতীয় পক্ষকে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছেন। ফলে এখন মাঠের পাকা ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ঐ দুই কৃষক।

সরেজমিনে দেখা গেছে, শৈলকুপার পার কাঁচেরকোল গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, গ্রামটির মিস্ত্রি পাড়ায় কৃষক সাইদুল জোয়ার্দ্দার ও তার ভাই তুহিন জোয়ার্দ্দার তাদের পৈত্রিক প্রায় ১একর ৫০ শতক জমির উপর এবার ধান, হলুদ ও মরিচ চাষ করেছেন।

পৈত্রিক সম্পত্তি হিসাবে গত ৫০ বছরের বেশী সময় ধরে তারা এসব জমি ভোগ-দখল করছেন। কিন্তু অতি সাম্প্রতি উত্তর মির্জাপুর গ্রামের শওকত আলী শহিদ নামের এক ব্যক্তি সেখানে জমি দাবি করে আসছে। অভিযোগ উঠেছে ঐ কৃষকের মায়ের কাছ থেকে এক সময় ১৯ শতক জমি বন্দক নেয় শওকত পরে তা ক্রয় করে কিন্তু এখন সবই দাবি করে আসছে।

শওকতের সাথে রুয়েল সহ আরো কিছু ব্যাক্তি ঐ কৃষকদের পাকা ধান কাটতে দিচ্ছে না। এসব ফসল জোর করে কেটে নেয়ার হুমকি সহ পরিবারের উপর হুমকি দিয়ে চলেছে।

এ ঘটনায় কৃষক তুহিন জোয়ার্দ্দার সাংবাদিককে জানায়, অতীতে কোন সময় তাদের জমিতে কেউ কোন দাবি তোলেনি, এখন জোর করে এসব করছে। পুলিশের সহযোগীতা পাচ্ছেন না বলে তিনি অভিযোগ করছেন।

এ ব্যাপারে শওকতের সাথে তার মোবাইলে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

কচুয়া তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই আব্দুর রাজ্জাক জানান, শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে জমি নিয়ে যাতে কোন সহিংসতা, সংঘর্ষ না হয় সে জন্য আদালতের আদেশ মানা হচ্ছে । পুলিশ কারো পক্ষ নেয়নি।

ঝিনাইদহে জমি সংক্রান্ত বিরোধে নিহত ১, আটক ২ !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটি ইউনিয়নের ইস্তেফাপুর গ্রামে মোহন মুন্সী নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় জড়িত দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) দিনগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। পরে শনিবার সকালে অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত ইস্তেফাপুর গ্রামের হাসানুজ্জামান তিতু (৪৮) ও মুরারীদহ গ্রামের ফজের আলীর ছেলে খোকন আলীকে (২৮) আটক করা হয়।

ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরেন্দ্রনাথ সরকার সাংবাদিককে জানান, শুক্রবার রাতে মোহনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় অভিযান চালিয়ে দু’জনকে আটক করা হয়েছে।

জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে উপজেলার ইস্তেফাপুর গ্রামের হাসানুজ্জামান তিতু ও ফিরোজ আহমেদ ফিদুর সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিলো।

এর জের ধরে শুক্রবার রাতে ফিদুর সমর্থক মোহন মুন্সী, মুসলিম বিশ্বাসসহ তিনজনের ওপর হামলা চালায় তিতুর সমর্থকরা। এ সময় মোহন মুন্সী ও মুসলিম বিশ্বাস আহত হন।

তাদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোহনকে মৃত ঘোষণা করেন । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

ঝিনাইদহে আনসার ভিডিপি অফিসে থামছেইনা ঘুষবানিজ্য ও দুর্নীতি !

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহ জেলা আনসার কমান্ডার আসানউল্লার নামে আনসার মৌলিক প্রশিক্ষণের নামে ঘুষ গ্রহণ, ঘুসের মাধ্যমে কম উচ্চতা সম্পন্ন লোক নির্বাচন, আনসারদের সাথে যখন তখন খারাপ ব্যবহার এমনকি আনসার সদস্যদের শারীরিক ভাবে মারধর ও প্রশক্ষণার্থীদের নিন্মমানের খাবার পরিবেশনের অভিযোগ উঠেছে।
সুত্রে জানা গেছে আনসার মৌলিক প্রশিক্ষণের নামে গত ১৫ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে ৬০ জন প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণ। এই প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষণার্থীদের যাচাই বাছাই কোন নিয়ন নিতির তোয়াক্কা না করে প্রতিটি আনসার সদস্যদের নিকট থেকে ৬০০০ টাকা থেকে ১৫০০০ টাকা ঘুষ নেওয়া হয়েছে।
৬ উপজেলা থেকে ১০ জন করে লোক নেওয়ার কথা থাকলেও সে নিয়ম মানা হয়নি। অভিযোগ উঠেছে টাকা বিনিময়ে ৫ ফুট ৬ ইঞ্চির থেকে কম উচ্চতা সম্পন্ন ব্যাক্তিকে নেওয়া হয়েছে। মেসে নিন্মমানের খাবার দিয়ে তার থেকে বাঁচিয়ে বাজারে বিক্রয় করে থাকে। ইহা ছাড়া কয়েক মাস আগে আলিম নামে এক ব্যাটিলিয়ান আনসার সদস্যকে মারধর করে।
যার কারনে আলিম আনসারের প্রধান কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করে। তাছাড়া প্রায়ই তার সহকর্মীদের উপর চড়াও হয়ে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে থাকেন বলে তার সহকর্মীদের নিকট থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
দুর্গাপুজার জন্য আনসার নিয়োগে প্রত্যেকের নিকট থেকে ইউনিয়ন কমান্ডারের মাধ্যমে ২০০ টাকা করে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এত কিছুর পরেও চাকুরীর চলে যাবার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না।
তাছাড়া মাগুরা জেলায় আসানউল্লা ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার থাকাকালিন মাগুরার শালিখা উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আনসার সদস্য নিয়োগের বিনিময়ে ষুষ না পেয়ে উপজেলা আনসার কমান্ডার মমতাজ বেগমকে ব্যাপক মারপিট করে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। যা বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
মাগুরার ঘটনায় জানাগেছে, গত ৭ মে ২০১৬ মাগুরার শালিখা উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নে অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ডিউটির জন্য ১ হাজার ৫’শ ৫৬ আনসার সদস্যদের বাছাই করা হয়। বাছাইকৃত আনসার সদস্যদের কাছ থেকে জন প্রতি ২শ’টাকা করে আড়াই লাখ টাকা ষুষ আদায় করে দেবার জন্য উপজেলা কমান্ডার মমতাজ খাতুনকে নির্দেশনা দেন জেলার ভারপ্রাপ্ত আনসার কমান্ডার আহসান উল্লাহ। যা আদায়ে ব্যর্থ হন মমতাজ।
এ নাজুক অবস্থায় গত ১ লা মে ২০১৫ তারিখে শনিবার রাত পৌনে ৮ টার দিকে আসানউল্লাহ পায়ে থাকা বুট জুতা দিয়ে মমতাজ খাতুনকে একের পর এক লাথি মেরে মারাত্মক আহত করে। এ সময় মমতাজ বেগম অজ্ঞান হয়ে পড়ে। তখন আহত অবস্থায় তাকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
সরকারের উপর মহলে ভাল সম্পর্ক থাকার কারনে এই অফিসারের কোন শাস্তি না দিয়ে পদ উন্নতি হয়েছে এবং মমতাজকেই উল্টা শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। তারপরেও থেমে নেই তার দুর্নীতি-সে হয়ে উঠেছে আরও বেপরোয়া।
তার এই দুর্নীতির অভিযোগের ব্যাপারে কথা বলতে ঝিনাইদহ জেলা আনসার কমান্ডার আসানউল্লার কার্যালয়ে গেলে তিনি দেখা করতে রাজি হয়নি। তখন মোবাইলে তার সাথে কথা বলে প্রশিক্ষণের কাগজাদি দেখতে চাইলে তিনি প্রশিক্ষণের কাগজাদি দেখাতে অস্বীকার করে বলেন, প্রশাসনিক বাধ্যবাধকতার কারনে প্রশিক্ষণের কাগজপত্র দেখাতে সাংবাদিকের প্রবেশ নিষেধ আছে। প্রয়োজনে সমাপনী প্রশিক্ষণের সবাইকে জানান হবে।
তবে ৬ থেকে ১৫ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার এবং নিন্মমানের খাবার দেওয়ার কথা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন সে জবাব আমি আমার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে দিব কোন সাংবাদিকে না।
সরকার ভ্যাট বাবদ স্কুলের যে টাকা কেটে নিচ্ছে তা হিসাবে দেখানো যাবে না বলে মালামালের মূল্য ভাউচারে বেশী করে লিখে পুরন করা হয়েছে !
ঝিনাইদহে শিক্ষা অফিসার ও প্রধান শিক্ষকরা প্রাথমিক বিদ্যালয় শ্লিপের ৪০ হাজার টাকা লুটপাট করছে !

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহে শিক্ষা অফিসার ও প্রধান শিক্ষরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্লিপের টাকা লুটপাট করছে বলে সুশিলরা অভিযোগ করেছেন। বর্তমান সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ভাতা বাড়ালেও থেমে নেই তাদের দুর্নীতি। সরেজমিনে ঘুরে আরও কয়েকটি বিদ্যালয়ের দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরা হল।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সীতারাম পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবস্থা একই রকম। দেখানো হয়েছে মা সমাবেশ কিন্তু খোঁজ নিয়ে দেখা গেল মা সমাবেশ হয়নি। এমন কি শ্লিপের টাকা কোন তারিখে এসেছে তা সহকারী শিক্ষকের জানা নাই। প্রধান শিক্ষক না থাকাতে সহকারী শিক্ষকেরা কিছুই বলতে পারে না।

চরম খারাপ অবস্থা দেখা গেল চন্ডিপুর বাজারে অবস্থিত কুঠিদুর্গা পুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সেখানে গেলে প্রধান শিক্ষক তার বিদ্যালয়ে সাংবাদিকের আগমনে অপ্র¯ুÍত হয়ে শ্লিপের টাকা হিসাবের তথ্য দিতে প্রথমে অস্বীকার করে পরে উপজেলা শিক্ষা অফিসের এটিওর নিকট ফোন করে হিসাব দেখাতে রাজি হলেও, যে হিসাব তিনি দেখালেন তাতে দেখা যায় ড্রামসেটের মূল্য ৭ হাজার টাকা, আলমারি মেরামত ১৫ হাজার টাকা, তোয়ালে ক্রয় ২৫০০ টাকা, বেঞ্চ মেরামত, মা সমাবেশ ৩৫০০ টাকা, প্রাক প্রাথমিকের পাটি ক্রয় সহ ব্যানার বাবদ খরচ হয়েছে ৫০০০ টাকা বলে জানান ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, গত বছর ক্রয় কৃত পুরান ড্রাম সেট , আলমারিতে কয়েকটি শুধু নতুন তালা ও একটি র‌্যাক লাগান , অন্য একজন সহকারী শিক্ষকের সাথে গোপনে কথা বলে জানা গেল যে আদৌও মা সমাবেশ হয়নি, প্রাক প্রাথমিকের গত বছরের পাটি ছেড়া মেঝেতে বিছান আছে, বেঞ্চ মেরামতের কোন নমুনা পাওয়া গেল না।

এ ভাবেই ৪৫ হাজার টাকার খরচ দেখান হয়েছে। বিভিন্ন দোকান থেকে সংগ্রহ কৃত ভাউচারে প্রায় একই হাতের লেখা পাওয়া গেল। বাজার মুল্যের সাথে ভাউচারের টাকার মুল্যের মিল না থাকার ব্যাপারের কুঠি দুর্গাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষীকা শিরিন আখতার বানু বলেন, সরকার ভ্যাট বাবদ যে টাকা কেটে নিচ্ছে তা হিসাবে দেখানো যাবে না। তাই সব মালামালের মূল্য ভাউচারে বেশী করে লিখে পুরন করা হয়েছে।

রঘুনাথপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বসির হোসেনের নিকট শ্লিপের টাকার হিসাব জানতে চাইলে, তিনি যে হিসাব দেন তাতে সে যে মাসে শ্লিপের টাকা পেয়েছে তার প্রায় ১ মাস আগে থেকে খরচ করছে। প্রতিটা ভাউচারেরই হাতের লেখা এক।

গান্না গ্রামের শিশু নিকেতন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবস্থা আরও শোচনীয় ল্যাট্রিনের জন্য ১৮৩০০ টাকা খরচের নামে শুধু পুরান ল্যাট্রিনের চুনকাম করে, বাকি টাকা পুরাটায় গায়েব হয়ে গেছে। প্রতিটা দোকানের ভাউচার একই হাতের লেখা এবং অসংখ্য জাইগায় কাটাকাটি। ৩টি ফ্যান, একটি ড্রাম সেট, একটি সাউন্ড বক্স ও চেয়ার মেরামত করে পুরা ৪০ হাজার টাকা শেষ।

এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, আপনারা সবই বোঝেন আমরা কি করব ? এই ব্যাপারে যাই বলেন না কেন আমরা কিছুই বলতে পারব না। খোঁজ নিয়ে জানা গেল এটিএ কামাল সাহেব ল্যাট্রিন মেরামত করার টাকা উঠিয়ে নিয়েছে।

এছাড়া বড় গড়িয়ালা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাউন্ড বক্স ব্যাতিত সকল মালামাল পুরান। কিন্তু স্কুল প্রধান শিক্ষক না থাকায় সহকারী শিক্ষকেরা কোন ভাউচারের হিসাব দেখাতে পারেনি। একটি রুমে অনেক গুলি ভাঙ্গাবেঞ্চ জমাকরা দেখতে পাওয়া যায়। শিক্ষকেরা বলেছেন, ছাত্র ছাত্রীদের কিছু খাতা পেন্সিল বিতরণ করা হয়েছে। দেখাগেছে, শুধু মাত্র দুলনার একটি আংটা মেরামত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ফোনে প্রধান শিক্ষীকা রেবেকার সাথে কথা হলে তিনি বলেন শ্লিপের টাকা খরচের সমস্ত ভাইচার আছে।

ঝিনাইদহ শহরের পাশে ধোপা ঘাটা ব্রিজের উত্তর পাশে অবস্থিত খান এ খোদা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষীকা উম্মে আইমা খরচের যে ভাউচার দেখিয়েছেন তার সব গুলো ভাউচারই একই হাতের লেখা । একই হাতের লেখা দেখে বুঝা যায় ঘটনা কি হয়েছে ? উদয়পুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলামের খরচের টাকার কোন হিসাবই নেই। সহকারী শিক্ষকদের শ্লিপের টাকা ব্যাপারে কথা বার্তা এলোমেলো।

কলমখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ঝিনাইদহ প্রথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সমিতির নেতা সাংবাদিকদের আগমনে বিরক্ত হয়ে সাফ সাফ জানিয়ে দিলেন যে, তিনি কোন তথ্য দিবেন না অফিসের নিষেধ আছে।

ওখানেই পাওয়া গেল পন্ডিতপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু জাফরকে। তিনিও জানালেন একই কথা। তবে জানা গেছে, কলমনখালী, পন্ডিতপুর স্কুলের পুরা ৪০ হাজার টাকায় সবাই মিলে ভাগযোগ করে নিয়াছে। উপস্থিত পন্ডিত পুর স্কুলের এক সহকারী শিক্ষক ইতিমধ্যে এক নেতার নিকট ফোন করে সাংবাদিকদের তথ্য নেওয়ার ব্যাপারে অভিযোগ জানান।

চেউনিয়া ও খেদাপাড়া সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়ের অবস্থাও একই রকম। সাউন্ড বক্স, আলমারি, পতাকার স্ট্যান্ড, ছেলে মেয়েদের খাতা কলম দিয়ে হিসাব শেষ। তাছাড়া শিক্ষা অফিসকে ৫০০০ টাকা ও সরকারের ভ্যাট বাবদ ২০০০ টাকা দিতে হয়েছে বলে প্রধান শিক্ষীকা শাহানুর জানান।

ইতিমধ্যে উপজেলা শিক্ষা অফিসের দুর্নীতি ও কুকৃর্তি যাতে কেউ না জানতে পারে, সেজন্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের নিষেধ করেছে সাংবাদিকদের কোন প্রকার তথ্য না দেওয়ার জন্য। প্রতিটি স্কুলে শ্লিপের টাকা দুর্নীতির সাথে জড়িত হাসান মাছুদ ও কামাল হোসেনের নামের সহকারী শিক্ষা অফিসার। শুধু ভাউচার গুল অডিট করলে সব দুর্নিতি বের হয়ে আসবে।

এ প্রসঙ্গে সহকারী শিক্ষা অফিসার কামাল হোসেনের তার দুর্নীতির সাথে জড়িত থাকার কথা নাকচ করে বলেন, এসব কথা মিথ্যা। আমি কোন ঘুষ দুর্নীতির সাথে জড়িত না।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *