জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় ২০০ কোটি ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক

Slider কৃষি, পরিবেশ ও প্রকৃতি

36353_bb

 

ঢাকা; জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশকে ২০০ কোটি ডলার দেয়ার আশ্বাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। আগামী তিন বছরে এই সহায়তা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা সফররত বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম। বিকালে আগারগাঁওয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। এ সময় সংস্থাটির দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক আঞ্চলিক ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যানেট ডিক্সন, ঢাকায় নিযুক্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান, প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে আছে বাংলাদেশ। ক্রমবর্ধমান এ ঝুঁকি মোকাবিলায় আমরা সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাব। এর আগে সোমবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে জিম ইয়ং কিম বলেন, আগামী তিন বছরে শিশুদের অপুষ্টি দূর করতে বর্তমানের তুলনায় ১০০ কোটি ডলার বেশি দেয়া হবে বাংলাদেশকে। ওই বৈঠকে তিনি বলেন, সব সদস্য দেশের জন্য ৫০ শতাংশ তহবিল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে দুই দিনের সফরে বাংলাদেশকে মোট ৩০০ কোটি ডলার সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি এলো বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে। সংবাদ সম্মেলনে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন। প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাংলাদেশের উন্নয়নে আগের মতো পাশে থাকার। তিনি বলেন, বাংলাদেশে যেন প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়ে, সে জন্য বিনিয়োগ করবে বিশ্বব্যাংক। এ ছাড়া বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বিশ্ব ব্যাংকের নীতি আগের মতোই থাকবে। জিম ইয়ং কিম বলেন, বাংলাদেশে চমৎকার পরিবেশ বিরাজ করছে। বর্তমানে কোন নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। আশা করি বাংলাদেশ দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখাবে।
পদ্মাসেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে প্রতিশ্রুতি প্রত্যাহার করে নেয় বিশ্বব্যাংক। ভবিষ্যতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের প্রকল্পগুলোতে কোনো দুর্নীতি হলে কি করা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে জিম ইয়াং কিম বলেন, বাংলাদেশে আমাদের অনেকগুলো প্রকল্প চলমান রয়েছে। সেগুলো আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। এক্ষেত্রে কোনো প্রকার অনিয়ম-দুর্নীতি যেন না হয়, সে বিষয়ে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। পদ্মা সেতুর ব্যাপারে জিম ইয়ং বলেন, দুর্নীতির প্রশ্নে আমাদের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। এক্ষেত্রে বিশ্বের যে কোনো দেশের ক্ষেত্রে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি চলমান রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *