সন্ত্রাস, দুর্নীতি থেকে সরে আসুন

Slider ফুলজান বিবির বাংলা

35484_bc

 

ঢাকা; সন্ত্রাস ও দুর্নীতি থেকে সরে আসার জন্য দেশের বড় রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিকল্পধারা বাংলাদেশ-এর সভাপতি ও সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। নিজের ৮৬তম জন্মদিন উপলক্ষে দলের কুড়িল বিশ্ব রোডের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ আহ্বান জানান। বি. চৌধুরী বলেন, আমি দুর্নীতিকে প্রশ্রয় না দেয়ার চেষ্টা করেছি। হয়তো অন্য কোনো বড় দলের মতো আমাদের দল বিরাট নয়, কিন্তু একদিন আমরা বড় শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে সক্ষম হবো, এটা আমাদের বিশ্বাস। তিনি বলেন, বাংলাদেশে যারাই রাজনীতি করবেন তাদের কাছে আমার আহ্বান, আপনারা সুস্থ রাজনীতি করুন। আহঙ্কার করবেন না। সন্ত্রাস, দুর্নীতি থেকে সরে আসুন। না হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আপনাদের ক্ষমা করবে না। দলের মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে অলোচনা সভায় কেন্দ্রীয় নেতা আবদুর রহীম, মাহবুব আলী, হাফিজুর রহমান ঝান্টু, শাহ্ আহমেদ বাদল, বেগ মাহতাব, জানে আলম হাওলাদার, ওয়াসিমুল ইসলাম, রোকেয়া বেগম, মাহফুজুর রহমান, ওবায়েদুর রহমান মৃধা, আসাদুজ্জামান বাচ্চু ও বিএম নিজাম প্রমুখ বক্তব্য দেন। এর আগে ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে দলের নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। তারা একটি কেকও কাটেন। উল্লেখ্য, ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী ১৯৩০ সালের ১১ই অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন। গতকাল তিনি ৮৭ বছরে পা রেখেছেন। তার পিতা কফিল উদ্দিন চৌধুরী একজন খ্যাতনামা উকিল এবং তৎকালীন প্রাদেশিক পরিষদের মন্ত্রী ছিলেন। বি. চৌধুরী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হতে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জনের পর তিনি যুক্তরাজ্যে চিকিৎসা শাস্ত্রের উপর উচ্চতর প্রশিক্ষণ নেন।  তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সবচেয়ে নবীন প্রফেসর হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। ষাটের দশকের শেষের দিকে জনপ্রিয় টিভি অনুষ্ঠান ‘আপনার ডাক্তার’ এর উপস্থাপক হিসেবে জনপ্রিয় হন। তিনি ১৯৭৭ সালে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক জিয়াউর রহমান সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা হিসেবে যোগ দেন। ১৯৭৯ সালে বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব হিসেবে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। জিয়াউর রহমান সরকারের আমলে উপ-প্রধানমন্ত্রী, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ৫ বারের সাবেক এ এমপি স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা, শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, সংস্কৃতি মন্ত্রীও ছিলেন। ২০০১ সালের নভেম্বর মাসে তিনি বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট হন এবং ২০০২ সালে সৃষ্ট এক বিতর্কিত ঘটনার জের ধরে তিনি প্রেসিডেন্ট পদ থেকে পদত্যাগ করেন। পরে নতুন রাজনৈতিক দল ‘বিকল্প ধারা বাংলাদেশ’ গঠন করেন। রাজনীতি ও সমাজ উন্নয়নে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ১৯৯৩ সালে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক স্বাধীনতা পদক লাভ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *