পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুজ্জামান বলেন, খরেশ দিনাজপুরে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। তাঁর বাড়িতে আগুনে তিনিসহ পাঁচজনের মৃত্যুর ঘটনাটি তদন্ত করা হবে।
পরিবার, পুলিশ, হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ভোররাতে খরেশ চন্দ্রের ঘরে আগুন লাগে। এ সময় পাঁচজনই ঘুমিয়ে ছিল। আগুনে কেয়া ও তাঁর বোন সন্ধ্যা ঘটনাস্থলেই মারা যান। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন। তাঁরা খরেশ এবং তাঁর দুই সন্তান নাইস ও নির্ণয়কে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজনেরই মৃত্যু হয়।
খরেশ চন্দ্রের বাবা সুরেশ চন্দ্র বলেন, মধ্যরাতে ঘরে ফিরে পাঁচজনই ঘুমিয়ে পড়ে। ভোররাতে ঘরে আগুন আগে। ঘুমিয়ে থাকায় সবাই আগুনে দগ্ধ হয়।
পীরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ঘরের টিনের চালের ওপর বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।