গাজীপুর অফিস; গাজীপুর শহরে পৃথক দুটি বাসায় জঙ্গী আস্তানায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৯ জঙ্গীকে হত্যা করেছে। জঙ্গীদের সঙ্গে পুলিশের গুলাগুলিতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ৩টি শক্তিশালী আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে আজ বিকেলে বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
মন্ত্রী আরো বলেন, জঙ্গী আস্তানায় সফল অভিযান করায় গাজীপুর পুলিশ সহ গাজীপুরবাসীকে অভিনন্দন জানাই। গাজীপুরে জঙ্গীদের কাছে শক্তিশালী বিস্ফোরক ছিল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, পুলিশ যথেষ্ট দক্ষমতার সঙ্গে মোকাবেলা করেছে। সারাদেশ থেকে একই ভাবে জঙ্গী নির্মুল করা হবে বলে অঙ্গীকার পুনঃব্যক্ত করেন মন্ত্রী।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা পুলিশ গাজীপুর শহরের লেবুবাগান এলাকায় জনৈক আতাউর রহমানের বাসা ঘিরে ফেলে। এক পর্যায়ে ওই বাসায় অভিযান চালানোর পর ভেতরে সন্দেহভাজন দুই জঙ্গী মারা যায়। আতাউর রহমান ঢাকায় ব্যবসা করেন।
একই সঙ্গে পুলিশ কিছু দূরে হাড়িনাল এলাকার পাতারটেক নামক স্থানে জনৈক সোলেমান সরকারের বাসা ঘিরে ফেলে। সোলেমান সরকারের গ্রামের বাড়ি গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার দমদমা গ্রামে। সোলেমান সৌদি আরব অবস্থান করায় তার ভাই ওসমান গনি বাসাটি দেখাশুনা করতেন। তাই পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওসমান গনিকে গ্রেফতার করে। ওসমান গনি গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার আজমতপুর ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক।
সরেজমিন জানা যায়, দুটি আস্তায় জঙ্গীরা ছাত্র পরিচয়ে ভাড়া নেয়। তাদের গতিবিধি সম্পর্কে প্রতিবেশীরা কিছুই আঁচ করতে পারেননি। আজ সকালে গুলাগুলির শব্দ শুনে তারা জানাতে পারেন এরা জঙ্গী।
বেলা সাড়ে ১১টার সময় পাতারটেক জঙ্গী আস্তায় পুলিশ অভিযান শুরু করে। পুলিশ গুলি করার সঙ্গে সঙ্গে বাসার ভেতর থেকে জঙ্গীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করতে থাকে। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে শুরু হওয়া গুলাগুলি চলে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। পরে পুলিশ বাসায় ভেতরে গিয়ে অভিযান সমাপ্ত ঘোষনা করে।
এদিকে পুলিশের সঙ্গে জঙ্গীদের গুলাগুলি চলাকালে ঘটনাস্থলে পর্যায়ক্রমে আসেন কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক ড. জাবেদ পাটোয়ারী, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক(প্রশাসন) মোখলেছুর রহমান ও গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোঃ হারুন অর রশীদ সহ জেলা ও সদর দপ্তরের বিভিন্ন ইউনিটের পুলিশ কর্মকর্তারা। একই সঙ্গে আসে সিআইডি ও সোয়াদের সদস্যরাও।
বিকাল পৌনে ৪টায় ঘটনাস্থলে আসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের বলেন. যে কোন মূল্যে জঙ্গীদের স্বমূলে দেশ থেকে উচ্ছেদ করা হবে। ধর্মের নামে জঙ্গীবাদকে বরদাশত করা হবে না।