শারমিন সরকার
ব্যুারো চীফ
গ্রাম বাংলা নিউজ২৪.কম
শ্রীপুর অফিস : গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ইশরাক স্পিনিং মিলের জেনারেটর রুমে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ওই কারখানার দুই শ্রমিক দগ্ধ ও অপর এক শ্রমিক আহত হয়েছেন।
রোববার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আগুন লাগে। সকাল ১০টার পর আগুন সম্পূর্ন নিয়ন্ত্রনে আসে।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, রোববার সকাল ৭টার দিকে কারখানার জেনারেটর রুমে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ হয়ে ওই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। আগুনে ওই কারখানার চারটি জেনারেটরসহ অন্যান্য মালামাল পুড়ে গেছে। এসময় অগ্নিদগ্ধ হন মো. শাহজাহান মিয়া ও মো. আলামিন নামে দুই শ্রমিক। তিনতলা থেকে লাফিয়ে পড়ে বিপুল নামের অপর এক শ্রমিক আহত হন। গুরুতর অবস্থায় শাহজাহান মিয়া নামে একজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অগ্নিদগ্ধরা হলেন ইউটিলিটি বিভাগের ওয়ার্কশপ ফিডার ম্যান ও ময়মনসিংহের গোপাল নগরের চর ঘাগরা এলাকার কুদ্দুস মিয়ার ছেলে শাহজাহান মিয়া (৩০) ও একই বিভাগের হেলপার ও নেত্রকোনার দুর্গাপুর থানার গোদারিয়া এলাকার নিজাম উদ্দিনের ছেলে আল-আমিন (১৯)। আতঙ্কে লাফিয়ে পড়ে আহত হয় ওই কারখানার ইউটিলিটি বিভাগের অপারেটর ও পাবনা সদরের শংকরপুর এলাকার আশ্রাফ আলীর ছেলে বিপুল (২৩)।
কারখানার ইউটিলিটি বিভাগের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মিলন হোসেন গাজী জানান, কারখানার জেনারেটর রুমে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ হয়ে ওই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে চারটি জেনারেটরসহ প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকার অন্যান্য মালামাল পুড়ে গেছে বলে ওই কর্মকর্তার দাবি।
শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার তাশারফ হোসেন জানান, শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। কারখানার জেনারেটর রুমে থাকা গ্যাস সিলিন্ডারের ‘গ্যাসের ওভার ফ্লো’ থেকে ওই অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
ঈদের আগের দিনেও কারখানা চালু রাখার ব্যাপারে শ্রমিকেরা জানান, কাজে যোগদান না করলে পরবর্তী মাসের বেতন থেকে একদিন অনুপস্থিতির জন্য তিন দিনের মজুরী কেটে নেওয়ার হুমকি রয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে। এ কারণে শ্রমিকেরা বাধ্য হয়ে কাজে যোগদান করেন।
এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, কারখানাটিতে কমপক্ষে ১০ ভাগ শিশু শ্রমিক রয়েছে।
এসব বিষয়ে কারখানার মহাব্যবস্থাপক (জিএম) আলী হায়দার জানান, শ্রমিকদের জোর করে কাজ করানোর অভিযোগটি সত্য নয়। যে যার ইচ্ছেমতো কাজ করছে। ঈদের ছুটিতে কাজ করলে তাদেরকে গতানুগতিক প্রণোদনার চাইতে দুইভাগ বেশি প্রণোদনা দেওয়া হয়। শিশু শ্রমিক নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি ভিত্তিহীন।