গুলশান হামলাকারীর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল মালয়েশিয়ায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশীর

Slider সারাদেশ

file

 

ঢাকা; মালয়েশিয়ায় সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া চার ব্যাক্তির একজন দুই মাস আগে ঢাকা হামলায় জড়িত এক সন্দেহভাজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। গ্রেপ্তারকৃত এ ব্যাক্তিটি হলেন একজন বাংলাদেশী ব্যবসায়ী। গ্রেপ্তারের পর তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়। বিভিন্ন সূত্রের বরাতে সিঙ্গাপুরের দ্য স্ট্রেইট টাইমস জানিয়েছে, ৩৭ বছর বয়সী ওই বাংলাদেশী ব্যবসায়ী মালয়েশিয়ায় নিজের রেস্তোরাঁ বুকিত বিনতান-এ সন্ত্রাসী আন্দালিব আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ওই আন্দালিব জুলাইয়ে ঢাকার গুলশান হামলাকারীদের একজন বলে পত্রিকাটির ভাষ্য। একটি সূত্রের ভাষ্য, ‘কর্তৃপক্ষের বিশ্বাস নিজ দেশে হামলা করার পরিকল্পনা ছিল এ সন্দেহভাজনের। অনেক স্বদেশীর সঙ্গে সে নিয়মিত সাক্ষাৎ করতো।’ বাংলাদেশে একে-৪৭ রাইফেল পাচারের জন্যও দায়ী এই সন্দেহভাজন বাংলাদেশী। অপরদিকে গুলশান হামলায় জড়িত আন্দালিব মালয়েশিয়ার মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তো। ২০১২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় ছিল সে। পরে চলে যায় তুরস্কের ইস্তাম্বুল।
মালয়েশিয়া পুলিশের মহাপরিদর্শক খালিদ আবু বকর বলেন, এই বাংলাদেশী ব্যাবসায়ী ছিল ২রা আগস্ট ও ১৭ই সেপ্টেম্বরের মধ্যে সন্ত্রাসবাদবিরোধী বিশেষ শাখার হাতে গ্রেপ্তার হওয়া চার ব্যাক্তির একজন। ২২শে সেপ্টেম্বর এক বিবৃতিতে তিনি বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশী ওই সন্দেহভাজন গ্রেপ্তার হন ১৯শে আগস্ট। তাকে ২রা সেপ্টেম্বর নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়।’ তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃত চতুর্থ ব্যাক্তি বাংলাদেশী ব্যবসায়ীর গাড়িচালক হিসেবে কাজ করতেন। তার সঙ্গে জঙ্গি মোহাম্মদ ওয়ান্দি মোহামাদ জেদির সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। তিনি বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস তিনি আইএস’র প্রোপাগান্ডা ও আদর্শ নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে প্রচার করছিলেন।’
স্ট্রেইট টাইমসের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ধারণা করা হচ্ছে যে, পোর্ট ক্লাং-এ গাড়ী আমদানির ব্যবসা ছিল বাংলাদেশী ব্যবসায়ীর। ২০১৪ সাল থেকে তিনি আইএস’র সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছে একটি সূত্র।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *