প্রধানমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে মুগ্ধ বিমানযাত্রীরা

Slider ফুলজান বিবির বাংলা

31618_f2

 

ঢাকা: বিমানের সাধারণ ফ্লাইটে করেই লন্ডন যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১১ দিনের কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র সফরের অংশ হিসেবে লন্ডনে ২২ ঘণ্টার যাত্রাবিরতি। বিমানের ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীদের সঙ্গে ছিলেন সাধারণ যাত্রীরাও। ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রী বিমানের সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এসময় প্রধানমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে তার সঙ্গে কথা বলতে পেরে বিমানযাত্রীরাও অভিভূত হন। মঙ্গলবার লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী। লন্ডনে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার খন্দকার মোহাম্মদ তালহা বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। লন্ডনে যাত্রাবিরতির পর তিনি এয়ার কানাডার একটি ফ্লাইটে কানাডার মন্ট্রিলের উদ্দেশে রওনা হবেন। কানাডায় অনুষ্ঠিতব্য ফিফ্‌থ রিপ্লেনিসমেন্ট কনফারেন্স অব দ্য গ্লোবাল ফান্ড (জিএফ)-এ যোগ দেবেন শেখ হাসিনা। জিএফ হচ্ছে
এইডস, যক্ষ্মা, ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ ও চিকিৎসা কার্যক্রম সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক অর্থায়ন সংস্থা। এই ফান্ড গোটা বিশ্বে বিশেষ করে যেসব অঞ্চলে এসব রোগ বড় ধরনের বোঝা হয়ে ওঠেছে সেখানে গুরুত্ব দিয়ে নানা কর্মসূচিতে সহায়তা দিয়ে থাকে। ১৬ ও ১৭ই সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় এই সম্মেলন ২০৩০ সালের মধ্যে এই সব ঘাতক ব্যাধির ব্যাপক বিস্তার রোধে আরো বেশি কার্যক্রম গ্রহণে বিশ্ব স্বাস্থ্যবিষয়ক নেতৃবৃন্দকে এক মঞ্চে নিয়ে আসবে। কানাডা সরকারের প্রটোকল প্রধান ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং অটোয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মিজানুর রহমান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন। পরে তাকে মোটর শোভাযাত্রা সহকারে হোটেল ওমনি মন্ট রয়েল-এ নিয়ে যাওয়া হবে। কানাডা সফরকালে এখানেই তিনি অবস্থান করবেন।
শেখ হাসিনা ১৬ই সেপ্টেম্বর রিপ্লেনিসমেন্ট কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। পরে তিনি অন্যান্য রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সঙ্গে সম্মেলনের মিনিস্ট্রিয়াল প্লিজিং মোমেন্ট ও আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনায় যোগদান করবেন। তিনি হায়াত রিজেন্সি মন্ট্রিলে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো’র আমন্ত্রণে আনুষ্ঠানিক নৈশভোজে অংশ নেবেন। শেখ হাসিনা ১৭ই সেপ্টেম্বর কানাডার প্রধানমন্ত্রী এবং গ্লোবাল ফান্ডের নির্বাহী পরিচালক মার্ক দাইবালের সঙ্গে সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন। ওই দিনই তিনি ‘রিমোভিং বেরিয়ার্স টু হেলথ থ্রো এমপাওয়ারিং উইমেন অ্যান্ড গার্লস অ্যান্ড রিচিং দ্য মোস্ট মার্জিনালাইজড’ ও ‘এনগেজিং অ্যান্ড মোবিলাইজিং ইয়ুথ টু মিট দ্য সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস’ শীর্ষক দু’টি প্যানেল আলোচনায় অংশ নেবেন। প্রধানমন্ত্রী কানাডার প্রধানমন্ত্রী ও কানাডার গভর্নর জেনারেল ডেভিড জনস্টনের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠেয় আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন। পরে তিনি সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে যোগদান করবেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো’র সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হবেন এবং তার হাতে ‘ফ্রেন্ডস অব লিবারেশন ওয়ার অনার’ পুরস্কার হস্তান্তর করবেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালে দ্ব্যর্থহীন সমর্থন ও অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার কানাডার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পিয়েরে ট্রুডোকে (জাস্টিন ট্রুডো’র পিতা) মরণোত্তর এই পুরস্কার প্রদান করে। শেখ হাসিনা ১৮ই সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশন ও অন্যান্য কর্মসূচিতে যোগদানের জন্য এয়ার কানাডার একটি ফ্লাইটে নিউ ইয়র্কের উদ্দেশে মন্ট্রিল ত্যাগ করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *