ঢাকা: অভিযানে নিহত জঙ্গিদের লাশ সরাতে পুলিশকে চিঠি দিয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। লাশ সংরক্ষণের ফ্রিজের ২০টি চেম্বারের মধ্যে আটটি নষ্ট। বর্তমানে ১২টি চেম্বারে ১২টি লাশ থাকার কথা থাকলেও সেখানে রাখতে হচ্ছে ১৬টি। এর মধ্যে ১৩ জঙ্গির লাশ রয়েছে। হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, লাশগুলো রাখতে গিয়ে তাদের রুটিন কাজ করতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ঢামেকের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন লাশগুলো সরিয়ে নিতে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি লিখেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ। গত ১লা সেপ্টেম্বর ওই চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফরেনসিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহমুদ। তিনি জানান, জঙ্গিদের লাশ দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে। লাশগুলোর কারণে রুটিন কাজ করতে অনেক ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। গত ২৬শে জুলাই থেকে কল্যাণপুরের ‘জাহাজ বাড়ি’ হিসেবে পরিচিত জঙ্গি আস্তানায় অপারেশন স্টর্ম-২৬ নামে অভিযান চালায় পুলিশ। এ ঘটনায় ৯ জঙ্গি নিহত হয়। ময়নাতদন্ত শেষে তাদের লাশ সেখানে সংরক্ষণ করা হয়েছে। এছাড়া, গত ২৭শে আগস্ট নারায়ণগঞ্জে পৃথক একটি জঙ্গি আস্তানায় অপারেশন হিট স্ট্রং-২৭ নামে আরেকটি অভিযানে নিহত হয় গুলশান শোলাকিয়া হামলার মাস্টারমাইন্ড জঙ্গি তামিম চৌধুরী ও তার সহযোগী মানিক এবং ইকবাল। গত ২রা সেপ্টেম্বর মিরপুরে আরেকটি অভিযানে জাহিদুল ওরফে মুরাদ নামে আরেক জঙ্গি নিহত হয়। এই ১৩ জঙ্গি ছাড়াও আরো তিনটি লাশ রয়েছে ঢামেক মর্গে। এর মধ্যে রয়েছে ধর্ম, পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় খোকন নন্দী ওরফে খোকন চৌধুরীর লাশ ও ভারতীয় এক নাগরিক এবং সাউথ আফ্রিকার এক নাগরিকের লাশ।
ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসকরা জানান, লাশগুলোর জন্য রুটিন কাজ ব্যাহত হচ্ছে। মর্গে বেশি লাশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেই। প্রতিদিন ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে আসছে পাঁচ-ছয়টি লাশ। অনেক সময় দুই-একদিন পর্যন্ত তা সংরক্ষণ করতে হয়। সেটাও এখন সম্ভব হচ্ছে না। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ইউসুফ আলী বলেন, এটি আদালত ও তদন্তকারী কর্মকর্তার বিষয়। লাশ সংরক্ষণের নিয়ম রয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যাখ্যাও আছে। লাশগুলো সংরক্ষণের বিষয়ে আদালতই সিদ্ধান্ত দেবেন বলে জানান তিনি।