দেশকে আফগানিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্র আ.লীগের: ফখরুল

Slider রাজনীতি

1a6f94867982dd508bfa624849d5f493-20

ঢাকা; বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগ দেশকে আফগানিস্তান, সিরিয়া, লিবিয়ার মতো একটি ব্যর্থ, জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্র করছে।

আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এই অভিযোগ করেন। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম নামের একটি সংগঠন ওই আলোচনার আয়োজন করে।

আওয়ামী লীগ জঙ্গিদের প্রশ্রয় দিচ্ছে—এমন অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, সন্দেহভাজন হিসেবে যেসব জঙ্গিদের ধরা হচ্ছে, তাদের কাউকে বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে না। ‘বন্দুকযুদ্ধের’ নামে তাদের হত্যা করা হচ্ছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গভীর ষড়যন্ত্রের জাল বুনছে। তারা এ দেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। তারা এ দেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র করতে চায়। তারা এ দেশকে আফগানিস্তান, সিরিয়া, লিবিয়ার মতো করতে চায়। কিন্তু আমরা তা হতে দিতে পারি না।’
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গিয়ে সব সময় ভিন্নমত দমন করে—এমন অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছে। স্বাধীনতাসংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছে। কিন্তু সেই দলটিই গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। এটি তাদের অন্তর্নিহিত চরিত্র। ক্ষমতায় গেলে তারা ফ্যাসিবাদী চরিত্র ধারণ করে।

দলের নেতা-কর্মীদের বিপর্যস্ত অবস্থার বর্ণনা দিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের ছেলেরা এখন রিকশা চালায়। আমাদের ছেলেরা হকারি করে। আমাদের ছেলেরা নাইট গার্ডের চাকরি করে।’ তিনি বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীরা নিজেদের অপকর্মের কারণে মামলায় পড়েননি। তাঁরা জেলে যাচ্ছেন, প্রাণ দিচ্ছেন, কষ্ট করছেন দেশের জন্য, রাজনীতির জন্য।

মির্জা ফখরুল বলেন, তারেক রহমানকে অত্যাচার, নির্যাতন করা হয়েছে। তাঁর কোমর ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তাঁকে নির্বাসিত জীবন যাপন করতে হচ্ছে। কারণ তিনি বিএনপির পতাকা বহন করছেন।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, আলোচনা সভা করে সমস্যার সমাধান করা যাবে না। সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে।
বিএনপির শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ওবায়দুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গাজী মাজহারুল আনোয়ার, হাবিবুর রহমান, আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল প্রমুখ বক্তব্য দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *