শ্রীপুরে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় এলপি গ্যাস ও লাকড়ির মূল্য বৃদ্ধি

Slider কৃষি, পরিবেশ ও প্রকৃতি

th
রাতুল মন্ডল,শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি: শ্রীপুরের বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ফলে এলপি গ্যাস ও লাকড়ির চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। এতে করে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে দেখা দিয়েছে এলপি গ্যাসের তীব্র সংকট। এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা হাতিয়ে নিচ্ছে অধিক মুনাফা।

জানা গেছে, বিগত কয়েক বছরে শ্রীপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ও শিল্পাঞ্চলে অবৈধ ভাবে লক্ষাধিক গ্যাসর সংযোগ নেয়া হয়। একটি অসাধুচক্র স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এসব সংযোগ দিয়ে হাতিয়ে নেয় লাখ লাখ টাকা।

সম্প্রতি গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নের অভিযান শুরু হলে অবৈধ গ্যাস ব্যবহারকারীরা আতংকে পড়ে যায়। কেউ কেউ নিজেদের উদ্যোগে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নও করে ফেলে। অনেককে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানাও করা হয়। এই ভয়ে অনেক অবৈধ সংযোগ ব্যবহারকারীরা গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে এলপি গ্যাস ও লাকড়ির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এলপি গ্যাস ও লাকড়ির ব্যবসায়ীরা চড়া দামে বিক্রি করছেন তাদের এলপি গ্যাস ও লাকড়ি। এতে দেখা দিয়েছে জ্বালানী সংকট। হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে এলপি গ্যাস ও লাকড়ির চাহিদা।

শ্রীপুর উপজেলার জৈনা বাজার,নয়নপুর,এমসি বাজার,মাওনা,বরমীসহ উপজেলার প্রায় সবকটি বাজারে এলপি গ্যাসের নতুন সিলিন্ডার ২৬’শ টাকায় বিক্রি হতো, এখন তা ৩৮’শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।, ১২০ টাকা মণের লাকড়ি এখন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। বাজারে এলপি গ্যাসের তীব্র গ্যাসের সংকট দেখা দেওয়ায়, রিফিল এলপি গ্যাস সিলিন্ডার ৯ ৫০’ টাকার বদলে ১৩’শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নাম প্রকাশ না করে মাওনা চৌরস্তা এলপি গ্যাস ব্যবসায়ী জানান, হঠাৎ করেই চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এলপি গ্যাসের বোতলের সংকট দেখা দিয়েছে। তাই বেশি দিয়ে কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *