চট্টগ্রাম বিটিসিএল অফিসে ঘুষ রেজিস্ট্রার বইয়ের ভেতরেও টাকা

Slider চট্টগ্রাম জাতীয়

 

27849_res
চট্টগ্রাম; ঘুষের টাকা লেনদেন করে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়েছেণ বাংলাদেশ তার ও টেলিফোন বোর্ড বিটিসিএলের ৩ কর্মকর্তা। গত বুধবার এক মুক্তিযোদ্ধার কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরা পড়ার পর অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসছে তাদের নানান অপকর্মের তথ্য। গ্রেপ্তার হওয়ার পর বর্তমানে এসব ব্যক্তিদের অঢেল সম্পদের খোঁজে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার ঘুষ কেলেংকারীর ঘটনায় ফেঁসে যাওয়া বিটিসিএলের এই ৩ কর্মকর্তার জামিন না মঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তারা হলেন-প্রতিষ্ঠানটির বিভাগীয় প্রকৌশলী ফোন্স (আভ্যন্তরীণ) প্রদীপ দাশ, প্রধান সহকারি গিয়াস উদ্দিন ও  টেলিফোন অপারেটর হুমায়ুন কবির। দুদকের কর্মকর্তারা জানান, জনৈক আবুল কাশেম ভূঁইয়ার আগেও অনেক ব্যক্তির কাছ থেকে তারা ৫০,০০০ থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত এই সিন্ডিকেট ঘুষ নিয়েছে। অনেকে ঘটনাটি ফাঁস হওয়ার পর দুদকের সঙ্গে এখন যোগাযোগ করছেন। এই ব্যক্তিকে আটক করার পর তাদের কাছ থেকে পাওয়া গেছে আরও কোটি টাকার হিসেব। যা নিয়ে বিস্ময় হতে হয়েছে। এখন এই ৩ কর্মকর্তার স্ত্রী ও পরিবার পরিজনের নামে বেনামে ব্যাংকে অনেক অর্থ থাকতে পারে বলে সন্দেহ দুদক কর্মকর্তাদের। অভিযানে অংশ নেয়া এক কর্মকর্তা জানান, এই তিনজনের কাছ থেকে নগদ ও সঞ্চয় পত্রসহ প্রায় এক কোটি টাকা জব্দ করা হয়েছে। যেগুলোর বিষয়ে তারা কোন তথ্য দিতে পারেননি। কোথা থেকে তারা এতো টাকা জমা করেছিলেন সেই বিষয়ে জবাব নেই কারও। অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে ঘুষ হিসেবে আটক হয়া বিটিসিএল’র বিভাগীয় প্রকৌশলী প্রদীপ দাশের কক্ষের স্টিল কেবিনেটের ড্রয়ার থেকে ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকা ও ২ লাখ টাকার এফডিআরের কাগজপত্র ও দুটি জমির দলিল পাওয়া গেছে। অন্যদিকে প্রধান সহকারী মো. গিয়াস উদ্দিনের রুমে তল্লাশি চালিয়ে তার ড্রয়ার ও আলমারি এবং রেজিস্ট্রার বইয়ের ভেতর থেকে নগদ ৮০ হাজার টাকা ও নিজ নামে ৮৩ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র পাওয়া যায়। এসব টাকা কারা দিলো কোথা থেকে এলে তা জিজ্ঞাসাবাদ করলে মাথা নিচু করে থাকেন তিনি।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে দুর্নীতি দমন কমিশন চট্টগ্রাম জেলার উপ সহকারী পরিচালক মানিক লাল দাশ বলেন, এই ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিষয়ে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। অভিযান চালাতে গিয়ে আমরা অফিসের রেজিস্ট্রার বইয়ের ফাঁক থেকে ৮০ হাজার টাকা পাই। পরে সন্দেহ বাড়লে আরও তদন্ত করলে বেরিয়ে আসে দুর্নীতির নানা তথ্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *