টঙ্গীতে শোক দিবসে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি

Slider জাতীয়

Photo (6)
মো. পলাশ প্রধান, টঙ্গী (গাজীপুর) থেকে;   ১৫ আগস্ট! জাতীয় শোক দিবস। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদাৎ বার্ষিকী। ১৯৭৫ সালের এই দিনে স্বাধীনতা বিরোধী দেশি-বিদেশি ঘাতক চক্র বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ ও দিবসটিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য বিস্তারিত কর্মসূচি হাতে নিয়েছে টঙ্গীর আওয়ামী লীগ। সোমবার ভোরে সূর্য্যদয়ের সঙ্গে সঙ্গে টঙ্গীর স্থানীয় আওয়ামী পার্টি অফিস সহ টঙ্গী থানা এলাকার গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডের বিভিন্ন কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ এবং কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে। তাছাড়াও, রাত ১২টা ১মিনিটে টঙ্গীর স্থানীয় আওয়ামী পার্টি অফিসের সামনে দাড়িয়ে বুকে কালো বেচ ও মোমবাতি লাগিয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করে। তখন সেখানে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ ও মহিলা লীগসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্নি শাখা, সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। পরে, ১৫ আগস্টের সব শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো ছাড়াও ফাতেহা পাঠ, মোনাজাত করা হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন-গাজীপুর জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মো. মতিউর রহমান মতি, টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক রজব আলী, টঙ্গী থানা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ্ আলম, গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মো. তৌহিদুল ইসলাম দ্বীপ, ৫৬নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী মো. খোরশেদ আলম, ৫৬নং ওয়ার্ড সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক মো. সোহেল মাতাব্বর, গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো. ইকবাল হোসেন পাঠান, মো. মোতাহার হোসেন খাঁন মিঠু, টঙ্গী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মো. কাজী মনজুর, সাধারন সম্পাদক মো. রেজাউল করিম, টঙ্গী থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. কানন মোল্লা, সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. বেলায়েত হোসেন, মো. কবির শাহ্, ছাত্রলীগ নেতা মো. আবু জেহাদ জুয়েল, মো. আমিনুল করিম রানা, ৪৭নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাখোয়াত হোসেন সুজন প্রমুখ।
১৫ আগস্ট ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম হত্যাকান্ডে নিহতরা হলেন- বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ভাই শেখ আবু নাসের, বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ ছেলে শেখ কামাল, দ্বিতীয় ছেলে তৎকালীন সেনা কর্মকর্তা শেখ জামাল, ছোট ছেলে শেখ রাসেল। ঘাতকদের হাত থেকে রক্ষা পাননি জাতির জনকের নবপরিণীতা পুত্রবধূ দেশবরেণ্য অ্যাথলেট সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ষাটের দশকের ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনি ও তার অন্তঃসত্তা স্ত্রী বেগম আরজু মনিও। নিহত হন বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি ও তার মন্ত্রিসভার অন্যতম সদস্য কৃষক নেতা আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছোট মেয়ে বেবী সেরনিয়াবাত, শিশুপুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত, নাতি সুকান্ত আবদুলাহ বাবু, ভাইয়ের ছেলে শহীদ সেরনিয়াবাত, আবদুল নঈম খান রিন্টু, বঙ্গবন্ধুর প্রধান নিরাপত্তা অফিসার কর্নেল জামিল উদ্দিন আহমেদসহ কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তা-কর্মচারী। নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় সোমবার টঙ্গীর প্রতিটি ওয়ার্ডসহ মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *