জোবাইদা শিক্ষিত মেয়ে রাজনীতিতে এলে রাজনীতির জন্য ভালো : প্রধানমন্ত্রী

Slider জাতীয় রাজনীতি সারাদেশ

file

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান বিএনপির রাজনীতিতে এলে ভালো হবে বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জোবায়দা উচ্চ শিক্ষিত ভালো বংশের মেয়ে এবং তিনি যদি রাজনীতিতে আসেন তাহলে ভালো করবেন। অন্তত একজন শিক্ষিত মানুষ বিএনপির রাজনীতিতে আসবে। ওর পরিবারের ঐতিহ্যও ভালো। শিক্ষিত মানুষ রাজনীতিতে এলে রাজনীতির জন্য ভালো হবে।

সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এক অনির্ধারিত আলোচনায় উঠে আসে বিএনপি’র নতুন কমিটি। ষষ্ঠ কাউন্সিল শেষে সদ্য গঠিত বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটিতে দুটি পদ খালি থাকা প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ মন্তব্য করেন বলে বৈঠকে উপস্থিত মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, বিএনপির স্থায়ী কমিটির ১৯টি পদের মধ্যে দুটি পদ এখনো শূন্য রয়েছে।

বৈঠকে উপস্থিত একাধিক মন্ত্রী জানান, মন্ত্রিসভার নির্ধারিত এজেন্ডা শেষে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বিষয়ে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আলোচনার সূত্রপাত করেন। এ অনির্ধিারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে নিয়ে নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান প্রসঙ্গটি উত্থাপন করে বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটিতে যে দুটি পদ খালি রাখা হয়েছে সেখানে খালেদা জিয়ার দুই পুত্রবধূকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে শুনেছি। অপর এক মন্ত্রী বলেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরউল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির দুটি পদ এখনো শূন্য রয়েছে। এ দুটি পদ খালেদা জিয়া হয়তো তাঁর দুই ছেলের বউয়ের জন্য রেখেছেন। এসময় অন্য মন্ত্রীরাও নানা ধরণের মন্তব্য করতে থাকলে প্রধানমন্ত্রী তাদের বিষয়টাকে ইতিবাচকভাবে দেখার পরামর্শ দিয়ে উল্টো ডা. জোবায়দা রহমানের প্রশংসা করে বলেন, সে (জোবায়দা) শিক্ষিতা এবং ভালো বংশের মেয়ে। সে রাজনীতিতে এলে তো ভালোই হবে।
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত পারিবারিক সম্পর্কে বেয়াই (মেয়ের শ্বশুর) এবং স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে উদ্দেশ করে বলেন, তিনি (জোবাইদা) তো আবার উনারও আত্মীয়। তখন মন্ত্রিসভায় অনেকে কৌতূহল প্রকাশ করলে মোশাররফ হোসেন সম্মতি জানিয়ে বলেন, হ্যাঁ তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান আমার চাচার শ্যালিকার মেয়ে। ফলে উনি সম্পর্কে আমার খালাতো বোন হন। এছাড়া বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে ২১ আগস্ট বোমা হামলার আসামিসহ কমিটির আকার নিয়েও মন্ত্রিসভার কোনো কোনো সদস্য টিপ্পনি কেটেছেন বলে সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে মন্ত্রিসভার অনির্ধারিত এক আলোচনায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় উচ্ছেদ অভিযানের বিষয়ে গণপূর্তমন্ত্রীকে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বড় সড়কের পাশে বাণিজ্যিক সুবিধা থাকতে পারে। কিন্তু, কোনো আবাসিক এলাকার কোনো রাস্তার পাশে যেন হোটেল রেস্টুরেন্ট না থাকে। ওইসব জায়গায় আকাম…হয়ে থাকে। ফলে কোনো অবস্থাতেই আবাসিক এলাকায় হোটেল-রেস্তোরা অ্যালাও করা যাবে না।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *