টাইমস অব ইন্ডিয়ার রিপোর্ট ভারতে তামিম চৌধুরী সহ জেএমবি’র ৫ সদস্য

Slider জাতীয় সারাবিশ্ব

 

eadcd148c18446cb5f0003c200a6b220-Tamim_Ahmmed_Chy
বাংলাদেশে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস’র কথিত সমন্বয়ক তামিম আহমেদ চৌধুরী সহ জেএমবির কমপক্ষে পাঁচ সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী ভারতে ঢুকেছে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে র‌্যাবের হস্তান্তরকৃত তালিকায় এদের নাম রয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ভারত সফরের একদিন আগে এ নামের তালিকা প্রকাশ পায়। এ বিষয়টিই ছিল বৃহ¯পতিবার ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর সঙ্গে কামালের আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এ খবর দিয়েছে ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়া।
এর ক’দিন আগে র‌্যাব একটি তালিকা প্রকাশ করে। এতে ২০১১ সাল থেকে নিখোঁজ ৬৮ জনের নাম ছিল। এদের মধ্যে পাঁচ জন ভারতীয় ভূখ-ে প্রবেশ করেছে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, বাংলাদেশে গুলশান হামলার পর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও মেঘালয় রাজ্যে সতর্কতা জারি করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার এবার অন্তত ৫ জন জেএমবি সদস্যের তালিকা ভারতের হাতে দিয়েছে। দুই মাস আগে, চিরাং জেলায় জেএমবির একটি শিবিরে হানা দেয় আসাম পুলিশ। ওই শিবির ব্যবহার করে স্থানীয় তরুণদের প্রশিক্ষণ দেয়া হতো।
খবরে বলা হয়, তালিকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সন্দেহভাজনদের অন্যতম তামিম আহমেদ চৌধুরীকে গুলশান হামলার নেপথ্য কারিগর বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান এ নাগরিক বাংলাদেশের স্থানীয় সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো ও আইএস’র মধ্যকার সংযোগ বলে ধারণা করে নিরাপত্তা বাহিনীগুলো। আবু ইবরাহিম আল-হানিফ নামেও পরিচিত সে। আইএস’র প্রোপাগান্ডা ম্যাগাজিন দাবিকের জুন সংখ্যায় তার একটি সাক্ষাৎকারও ছাপা হয়। সূত্র মোতাবেক, ২০১৩ সালে কানাডা ছাড়ে তামিম। এরপর থেকে তার আর কোন হদীস পাওয়া যায়নি।
আরেক সন্দেহভাজন জুনুন শিকদার। কুমিল্লার বাসিন্দা জুনুনকে ২০০৯ সালে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে পুলিশ আটক করেছিল। ঢাকার একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক¤িপউটার সাইয়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল সে। জেএমবির জন্য সদস্য সংগ্রহ করছিল সে। ২০১৩ সালে আবারও আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সঙ্গে কথিত যোগসূত্র থাকার অভিযোগে তাকে আটক করা হয়। পরে জামিনে মুক্তি পেয়ে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমায় জুনুন।
আরেকজনের নাম নাজিবুল্লাহ আনসারি। চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাসিন্দা মেরিন প্রকৌশলে পড়তে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমায়। গত বছর চট্টগ্রাম পুলিশ স্টেশনে নিখোঁজ ডায়রি দায়ের করা হয়। এর আনসারি তার ভাইকে চিঠি লিখে যানায় যে, সে আইএস-এ যোগ দিতে ইরাকে যাচ্ছে।
এটিএম তাজুদ্দিন আরেক সন্দেহভাজন। আমেরিকাভিত্তিক একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক¤িপউটার সাইয়েন্স পড়ছিল তাজুদ্দিন। সেও ২০১৩ সাল থেকে নিখোঁজ। এ মাসের শুরুর দিকে লক্ষ্মীপুর সদর পুলিশ স্টেশনে একটি নিখোঁজ ডায়রি নথিভুক্ত করা হয়েছে।
মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ ওজাকি ওরফে সুজিত দেবনাথ ছিলেন জাপানের এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় প্রশাসনের অধ্যাপক। গত এক বছর ধরে তিনি নিখোঁজ। তার বাবা জনর্দন দেবনাথ নবীনগরে ডায়রি করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *