আগামীকাল শুক্রবার ভোরেই মাদক পাচারে অভিযুক্ত বিদেশী সহ ১৪ জনের ফাঁসি কার্যকর করতে পারে ইন্দোনেশিয়া। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কর্মকর্তারা এ মৃত্যুদণ্ডের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা ইন্দোনেশিয়া সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড বাতিল করতে। কিন্তু কোন সমালোচনাই গায়ে না মেখে সরকার ওইসব মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে যাচ্ছে। যাদের বিরুদ্ধে এ শাস্তি কার্যকর হবে তার মধ্যে রয়েছেন ভারত, পাকিস্তান, নাইজেরিয়া ও জিম্বাবুয়ের নাগরিক। এ খবর দিয়ে অনলাইন বিবিসি বলেছে, নাসাকামবাঙ্গান দ্বীপের কারাগারে ফাঁসি কার্যকর করা হবে। ইন্দোনেশিয়ার আইন অনুযায়ী, ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তদের এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। দেশটির এটর্নি জেনারেল মুহাম্মাদ প্রাসেতয়ো বলেছেন, দণ্ডিত ১৪ আসামীকে আলাদা করে নিঃসঙ্গ করে রাখা হয়েছে। রোববারের মধ্যে তাদের ফাঁসি কার্যকরের কথা রয়েছে। বুধবার নুসাকামবাঙ্গান কারাগারে তাদের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন পরিবারের লোকজন। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার জায়েদ রা’দ আল হোসেন এ বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, বন্দিরা সুষ্ঠু বিচার পান নি। তিনি ইন্দোনেশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মৃত্যুদণ্ড স্থগিত করতে। তিনি বলেন, ইন্দোনেশিয়ায় ক্রমবর্ধমান হারে মৃত্যুদন্ড ব্যবহার করা হচ্ছে। এটা ভয়ানক উদ্বেগের। অবিলম্বে এই চর্চা বন্ধের জন্য আমি সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি। কারণ, এই শাস্তি অন্যায্য ও মানবাধিকারের সঙ্গে বেমানান। উল্লেখ্য, তিন বচর আগে মৃত্যুদণ্ড শিথিল করার নিয়ম উঠিয়ে নেয় ইন্দোনেশিয়া। সেই নীতি আবারও প্রচলনের আহ্বান জানিয়েছেন জায়েদ রা’দ আল হোসেন।