গুলশানে অবৈধ বাণিজ্যিক স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিল রাজউক

Slider ফুলজান বিবির বাংলা

2bc6cbd28ede49708671ad7d83bae7eb-12

আবাসিক এলাকার অননুমোদিত বাণিজ্যিক স্থাপনা উচ্ছেদে রাজধানীর গুলশানে অভিযান শুরু করেছেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আজ মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১২টা থেকে অভিযান শুরু হয়। বেলা দেড়টা পর্যন্ত গুলশান ১ নম্বরে তৃতীয় তলা একটি ভবনের নিচতলার কয়েকটি রেস্তোরাঁ ও বেকারি গুঁড়িয়ে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া গুলশান ২ নম্বরে আরেকটি ভবনের একটি রেস্তোরাঁ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই ভবনের একটি স্পা ও বিউটি পারলার সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।

গুলশান ১ নম্বরে তৃতীয় তলা ভবন এসডব্লিউএস কোরের বাণিজ্যিক অনুমোদন ছিল না। ভবনের দ্বিতীয় তলায় ফুড প্যালেস নামে একটি রেস্তোরাঁ ছিল। নিচতলায় ছিল ইস্টার ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস নামে একটি প্রতিষ্ঠান ও মল্লিক স্ন্যাক্স নামে একটি দোকান। ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই ভবনের গ্যাস ও বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। পরে এগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

ওই ভবনের মালিক ভিকারুননিসা দিনা অভিযোগ করেন, রাজউক থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য তাঁদের ৪ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এর আগেই আকস্মিক অভিযানে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন।

অভিযানের নেতৃত্বদানকারী রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার ওয়ালিউর রহমান বলেন, রাজউক যে নোটিশ দিয়েছিল, তা নিয়মিত কাজের অংশ। কিন্তু ভ্রাম্যমাণ আদালত এই অভিযান পরিচালনা করছেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের কোনো ধরনের নোটিশ প্রয়োজন হয় না।

জোন ৪–এ রাজউকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আদিলুজ্জামান বলেছেন, ভবন থেকে সরে যাওয়ার কোনো চিহ্ন তাঁরা দেখতে পাননি। তাই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ওই ভবনের পাশে গুলশান ২ নম্বর সড়কে অননুমোদিত পাঁচতলা আরেকটি ভবনের নিচতলায় ফাস্ট ফুডের দোকান সিএফসি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। ভবনের দোতলায় একটি স্পা ও বিউটি পারলার সিলগালা করে দেওয়া হয়।

আজ বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত এই অভিযান চলবে। গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় ২১ কর্মদিবস ধরে অভিযান চলবে।

রাজধানীর গুলশানে ১ জুলাই হোলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলার পর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশনা আসে। ৫৫২টি প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করা হবে। এর মধ্যে বেশির ভাগ (৬৩ শতাংশ) রেস্তোরাঁ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *