আক্রমণকারীদের অনেকেই বহুদিন ধরে ‘নিখোঁজ’ ছিল—বিবিসি

Slider জাতীয় সারাবিশ্ব

160703055247_gulshan_terrorist_collage_640x360_bbc_nocredit

গুলশানে শুক্রবার রাতে হোলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় আক্রমণ চালিয়ে বিদেশীসহ ২০ জনকে হত্যা করেছে যে আক্রমণকারীরা – তারা প্রায় সবাই গত কয়েক মাস ধরে নিখোঁজ ছিল।

সংবাদ মাধ্যম, পুলিশ, এবং পরিবারের সদস্যদের দেয়া তথ্যে জানা যাচ্ছে, হামলার দিনই কথিত ইসলামিক স্টেট-সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট আমাক যে পাঁচ আক্রমণকারীর ছবি প্রকাশ করে তার মধ্যে চারজনই নিখোঁজ ছিল।

আক্রমণকারীদের একজন রোহান ইবনে ইমতিয়াজের বাবা ঢাকার একজন ব্যবসায়ী ইমতিয়াজ খান বাবুল বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, তার ছেলে গত ৩০শে ডিসেম্বর থেকে নিখোঁজ। বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবার কথা বলে সে ওই দিন সন্ধ্যেবেলা বাড়ি থেকে বেরোয়, তার পর আর তাকে দেখা যায় নি।

এর পর থেকে অনেক খোঁজখবর করা সত্বেও তার একমাত্র ছেলে কোথায় গেল, বা তার কি হলো – তা বের করতে পারেন নি মি. খান। হোলি আর্টিজানের হামলার পর অনলাইনে আক্রমণকারীদের ছবি বেরুনোর পরই মি. খান খবর পান যে তার মধ্যে তার নিঁখোজ ছেলের ছবি দেখা যাচ্ছে।

একই রকম তথ্য পাওয়া যাচ্ছে বাকি আক্রমণকারীদের সম্পর্কেও।

নিবরাস ইসলাম নামের ২২ বছরের একজন আক্রমণকারী মালয়েশিয়ার মোনাশ ইউনিভার্সিটির ছাত্র। জানা যাচ্ছে, এবছরের শুরুর দিক থেকেই সে নিখোঁজ।

মির সামিহ মুবাশ্বের নামের আরেক আক্রমণকারী সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে জানা যাচ্ছে তাকে নাকি সবশেষ দেখা গিয়েছিল ফেব্রুয়ারির ২৯ তারিখ।

খায়রুল ইসলাম নামে আরেক আক্রমণকারী সম্পর্কে ঢাকার একটি সংবাদপত্র জানাচ্ছে দু মাসেরও বেশি সময় ধরে তার কোন খবর পাওয়া যাচ্ছে না, একথা বলেছেন তার মা।

রোহান ইবনে ইমতিয়াজের বাবা ইমতিয়াজ খান বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, তার নিখোঁজ সন্তানের সন্থান করতে গিয়ে এমন আরো অনেকের সাথে তার যোগাযোগ হয়েছে, যাদের ছেলেরাও একই ভাবে হঠাৎ করে নিখোঁজ হয়েছে।

তারা কোথায় গেছে, কি করছে এ সম্পর্কে কোন তথ্যই এখনো জানেন না তাদের অভিভাবকরা।

এরকম নিখোঁজ তরুণের সংখ্যা কত তা-ও সুনির্দিষ্টভাবে কেউ বলতে পারছেন না।

হোলি আর্টিজানের ঘটনার পর এ বিষয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশের বিশেষ পুলিশ র‍্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ।

তিনি আজ বলেছেন, কোন পরিবারের সন্তান নিখোঁজ হয়ে থাকলে তা যেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানো হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *