ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

Slider জাতীয়

 

666_222184

 

 

 

 

 

গুলশানে হলি আর্টিসান রেস্তোরাঁয় হামলা ও বিদেশি নাগরিকদের জিম্মির ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বিগ্ন। তিনি যে কোনো মূল্যে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি ধৈর্য সহকারে শান্তিপূর্ণভাবে পুরো পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। গতকাল শুক্রবার রাতভর জেগে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি কূটনৈতিক যোগাযোগও

অব্যাহত রেখেছেন বলে জানা গেছে।

আওয়ামী লীগের কয়েকজন শীর্ষ নেতা এবং ঘটনার সময় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে দায়িত্বরত কয়েকজন কর্মকর্তা সমকালকে জানিয়েছেন, ঘটনার সময়ে শেখ হাসিনা তারাবির নামাজের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ঠিক তখনই হামলা ও বিদেশি নাগরিক জিম্মির ঘটনা অবহিত হন তিনি। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলে জরুরিভিত্তিতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে জিম্মিদের নিরাপদে মুক্ত করার পাশাপাশি, বিদেশি কূটনীতিকদের আবাসস্থলের নিরাপত্তা জোরদার করাসহ পদস্থ কর্মকর্তাদের তাৎক্ষণিকভাবে বেশ কয়েকটি জরুরি নির্দেশনাও দেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথা হয়।

এরপর প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন সিনিয়র মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। রাত পৌনে ১২টার দিকে গণভবনে পেঁৗছান সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। তার আধঘণ্টা পর সেখানে যান দলের কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য এসএম কামাল হোসেন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে গণভবনের প্রধান ফটকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।

রাত ২টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় প্রধানমন্ত্রীর এপিএস অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখরসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও গণভবনে অবস্থান করছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *