ঢাকা : বর্তমানে দেশে চাহিদার তুলনায় ডাক্তার ও নার্সের সংখ্যা পর্যাপ্ত নয় বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
মঙ্গলবার (২১ জুন) জাতীয় সংসদে এম আব্দুল লতিফের (চট্টগ্রাম-১১) উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। এর আগে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে দেশে রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত সর্বমোট এমবিবিএস ডাক্তারের সংখ্যা ৭৭ হাজার এবং ডেন্টাল সর্জন (বিডিএস) ৬ হাজার ৯৭৬ জন। মঞ্জুরিকৃত নার্সের সংখ্যা ২২ হাজার ৯৩৯ জন। ফলে চাহিদার তুলনায় ডাক্তার ও নার্সের সংখ্যা পর্যাপ্ত নয়।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, প্রতি বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে ডাক্তার নিয়োগ কার্যক্রম চলমান আছে। নার্সের ১০ হাজার নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। এবং ৩ হাজার ৬১৬ শূন্যপদে নার্স নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন।
বগুড়া-৫ আসনের সংসদ সদস্য মো. হাবিবর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জনস্বাস্থ্যের নিরাপত্তার স্বার্থে দেশে জীবন রক্ষাকারী নকল ঔষধ উৎপাদন ও বিক্রয়কারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে এবং এ ব্যবস্থা চলমান রয়েছে। দেশে নকল ঔষধ উৎপাদন ও বিক্রয়কারীদের বিরুদ্ধে সরকারের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর সর্বদাই সচেষ্ট আছে এবং সরকার এ ব্যাপারে কঠোরতা অবলম্বন করছে।’
মোহাম্মদ নাসিম জানান, ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৬ সালের মে মাস পর্যন্ত সারাদেশে ভেজাল ও নকল ঔষধ উৎপাদন ও বিক্রি করার দায়ে ভ্রাম্যমান আদালতে ১ হাজার ৯৯৭টি মামলা দায়ের করে ৫ কোটি ৩৩ লক্ষ ৫০ হাজার ৩শ’ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ৫৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ৬৮টি প্রতিষ্ঠান সিলগালা করে দেয়া হয়েছে এবং আনুমানিক ২৭ কোটি টাকার ঔষধ জব্দ ও ধ্বংস করা হয়েছে।