স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, গাজীপুর থেকে ফিরে: গাজীপুর সিটিকরপোরেশন জিসিসিতে অস্থিরতা থাকায় সেবদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো মুখ থুবরে গেছে। কখন কার ক্ষমতা যায় আবার কার আসে এই আতঙ্কে জিসিসির জনবল সব সময় ব্যস্ত থাকে। ফলে নগরবাসীর মুখ্য নাগরিক সুবিধাগুলোও নিশ্চিত হচ্ছে না। এতে জনগনের ভোগান্তি বাড়ছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, জিসিসির প্রথম মেয়র জেলে যাওয়ার পর ভারপ্রাপ্ত মেয়র হন আসাদুর রহমান কিরণ। কিরণ মেয়রের চেয়ারে বসার পর জিসিসি ভিন্ন রকম প্রাণ সঞ্চার করে। অধ্যাপক মান্নান জেলে যাওয়ার পরবর্তি প্রেক্ষাপট উল্লাসে ফেটে পড়ে। আওয়ামীলীগ সমর্থিত কিরণের দলীয় কাউন্সিলরদের দলও ভারী হয়ে যায়। এক গুয়েমী থেকে মুক্তির জন্য বিএনপির কাউন্সিলরদের সংখ্যা কমতে থাকে। এখন জিসিসিতে মান্নান মেয়র ছিলেন এমন কথাও অপ্রীয় হয়ে যাচ্ছে। যারা মান্নানের নাম মুখে নিবেন তারাই বিপদে পড়বেন এমন অবস্থা হয়ে গেছে। ফলে জিসিসি এখন মান্নান মুক্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে যে কোন সময় অধ্যাপক এম এ মান্নান মেয়রের চেয়ারে আসতে পারেন এমন গুঞ্জনও আছে। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বলছে, সহসাই অধ্যাপক এম এ মান্নান চেয়ারে ফিরতে পারছেন না। জিসিসির চলতি মেয়াদে মান্নান চেয়ারে বসতে পারবেন এমন ধারণা আওয়ামীলীগের নেই। অবশ্য এমন ধারণা বিএনপির মধ্যেও ক্ষীন। ফলে নির্বাচিত মেয়রবিহীন জিসিসিতে এখন চলছে শুধুই লুটাপাট। কর্মকান্ড পরিচালনার ক্ষেত্রে তেমন কোন নিয়ম নীতি মানা হচ্ছে না। আওয়ামীলীগকে হাতে রাখতে ও বিএনপিকে মান্নান মুক্ত করতে ভারপ্রাপ্ত মেয়র কিরণ এখন মরিয়া। মান্নান যেন কারাগার থেকে বের হতে না পারেন তার জন্য সরকারের উচ্চ পর্যায়েও লবিং করতে হচ্ছে কিরণকে। আবার সকল মামলায় জামিন হয়ে যাওয়ার আগেই অন্য মামলায় গ্রেফতার দেখানোর জন্যও পুলিশের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করতে হচ্ছে তাকে। সব মিলিয়ে চেয়ার টিকিয়ে রাখার জন্য কাউন্সিলর, রাজনৈতিক দল. পুলিশ, আইন, আদালত ও সকরারী উচ্চ পর্যায়ের লোকজনের সঙ্গে নিয়মিত সম্পর্ক রাখতে হচ্ছে কিরণকে। আর প্রতিনিয়ত সম্পর্ক আপডেট করতে হচ্ছে কতিপয় সাংবাদিকদের সঙ্গেও।
পদ ও চেয়ার টিকিয়ে রাখতে ভারপ্রাপ্ত মেয়র ব্যস্ত থাকায় মহানগরের নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত হচ্ছে না। তাই জিসিসির অস্থিরতা দ্রুত দূর না করলে কার্যত এটিএকটি অচল সেবাপ্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়ে যেতে পারে।